Chandrayaan 2 Update: চন্দ্রযান-২ এর মধ্যে রয়েছে অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম (Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)
হাইলাইটস
- দ্রুত অবতরণের পর চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়ে রয়েছে বিক্রম ল্যান্ডার
- ইসরো আধিকারিকের দাবি, “টুকরো হয়ে ভেঙে যায়নি ল্যান্ডার বিক্রম”
- তিনি জানান, ল্যান্ডারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে
বেঙ্গালুুরু: আশা ছাড়ছেন না ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা, চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) এর ল্যান্ডার বিক্রমের (Vikram lander) সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, জানা গিয়েছে, সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে দ্রুত অবতরণের পর হেলে পড়ে রয়েছে। বিক্রমের মধ্যে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan rover), শনিবার ভোররাতে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাকালীন হঠাৎই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তারপরেই সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। চন্দ্রাবতরণ মিশনের সঙ্গে যুক্ত ইসরোর এক আধিকারিক সোমবার বলেন, “অরবিটারে থাকা ক্যামেরায় তুলে পাঠানো ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার আগে, সেটি দ্রুত অবতরণ করে। ল্যান্ডার অক্ষত রয়েছে, সেটি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়নি। এটি হেলে পড়ে রয়েছে”।
ইসরোর ওই আধিকারিক বলেন, “ল্যান্ডারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করা যায় কিনা, আমরা তা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি”।
ল্যান্ডার বিক্রম কেন সিগন্যাল গ্রহণ বন্ধ করে দেয়, বোঝালেন চন্দ্রযান-১ এর নির্দেশক
চন্দ্রযান-২ এর মধ্যে রয়েছে, অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার এবং রোভারের আয়ুষ্কার এক চন্দ্রদিবস বা পৃথিবীর ১৪ দিন।
শনিবার ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভান বলেন, ১৪ দিন ধরে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে, রবিবার, চাঁদের মাটিতে অরবিটার ক্যামেরায় ল্যান্ডারের ছবি দেখতে পাওয়ার পর সেটি আবারও মনে করিয়ে দেন তিনি।
ইসরোর এক আধিকারিক বলেন, “ যদি না সেটি অক্ষত থাকে, তাহলে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন। সম্ভাবনা কম। যদি সেটি ধীরে ধীরে অবতরণ করত, এবং যদি সমস্ত সিস্টেম কাজ করে, তাহলেই একমাত্র যোগাযোগ করা সম্ভব”।
ল্যান্ডার বিক্রম কেন সিগন্যাল গ্রহণ বন্ধ করে দেয়, বোঝালেন চন্দ্রযান-১ এর নির্দেশক
ওই আধিকারিক বলেন, “আমি এটাকে (যোগাযোগ স্থাপন করা) ভালই বলব”। ইসরোর আরেক আধিকারিক বলেন,ল্যান্ডার যে আবারও জীবন ফিরে পেয়ে আশার সঞ্চার করা করেছে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, “তবে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের মহাকাশযান খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটা ভূ-সমল কক্ষপথে। তবে বিক্রমের ক্ষেত্রে, এখানে এই ধরণের সুবিধা নেই। ইতিমধ্যেই সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়ে রয়েছে, এবং আমরা সেটাকে পরিবর্তন করতে পারছি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অ্যান্টেনা থাকা উচিত গ্রাউন্ড স্টেশন বা অরবিটারের দিকে। এই ধরণের অভিযান সত্যই খুবই কঠিন। একই সময়ে, ভাল সম্ভাবনা”।
ইসরো আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ল্যান্ডারের বৈদ্যুৎ উৎপাদন কোনও ইস্যু নয়, “তার চারদিকে সৌর প্যানেল” রয়েছে, এবং “অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি”ও রয়েছে।