অর্বিটারের পেলোড ‘ক্লাস’ চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন তীব্রতার চার্জড কণা (Charged Particles) খুঁজে পেয়েছে।
নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান ২-এর (Chandrayaan 2) অর্বিটারের (Orbiter) পেলোড ‘ক্লাস' গত কয়েক দিনের পর্যবেক্ষণে চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন তীব্রতার চার্জড কণা (Charged Particles) খুঁজে পেয়েছে বলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে। এই নিয়ে ইসরো একটি টুইট করেছে। ওই টুইটে জানানো হয়েছে, ‘‘চন্দ্রযান ২-র অর্বিটারের পেলোড ‘ক্লাস' তার প্রথম ক'দিনের পর্যবেক্ষণে চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন তীব্রতার চার্জড কণা খুঁজে পেয়েছে।'' ইসরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চন্দ্রযান ২-র ওই যন্ত্রাংশ ‘ক্লাস'কে নির্মাণ করা হয়েছে চাঁদের মাটিতে অবস্থিত উপাদানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য। জানানো হয়েছে, ‘‘এটা সবথেকে ভাল বোঝা যায় যখন একটি সৌররশ্মি এক-রে-র এক উৎস হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠকে উদ্ভাসিত করে তোলে। এই এক্স রের নির্গমনের ফলে ‘ক্লাস'-এর পক্ষে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।''
সাবধান! খাওয়া তো দূরের কথা একে ছুঁলেই মৃত্যু, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা
এতে আরও জানানো হয়, ‘‘এই ধরনের ‘ফ্ল্যাশ ফোটোগ্রাফি'র জন্য প্রয়োজন সূর্যের সক্রিয় হয়ে ওঠা। ‘ক্লাস' তার প্রথম ক'দিনের পর্যবেক্ষণে সমর্থ হয়েছে চার্জড কণাকে চিহ্নিত করতে।''
ইসরো আরও জানিয়েছে, সূর্য ক্রমাগত ইলেকট্রন ও প্রোটন নির্গত করছে সৌরজগতে। একে সৌর বাতাস বলে। সৌর বাতাস প্লাজমা, যার মধ্যে চার্জড কণা থাকে সূর্যের প্রসারিত চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে। এর গতি এক সেকেন্ডে কয়েক হাজার কিমি।
এর সঙ্গে সৌর জগতের ক্রিয়া হয়। ফলে পৃথিবী ও চাঁদের সঙ্গেও হয়। কিন্তু পৃথিবীর যেহেতু নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র আছে, সে সৌর বাতাস প্লাজমাকে আটকে দেয়। এর ফলে তৈরি হয় ম্যাগনেটোস্ফেয়ার।
দেখুন ভিডিও