মাও হানার আশঙ্কায় ছত্তিশগড়ে ভোটের হার কম, দশটি তথ্য

সকাল 11 টা  পর্যন্ত  18  টি আসনে  গড়ে 17 শতাংশ ভোট পড়েছে।  ছত্তিশগড়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস বলছে  এই পরিমাণ গতবারের তুলনায় অনেক  কম।  2013 সালে  76  শতাংশ ভোট পড়েছিল। কিন্তু এবার  মাওবাদী আক্রমণের ভয়ে ভোটের হার কম বলে মনে  করা হচ্ছে।  ভোট ঘিরে  নিরাপত্তার ব্যবস্থা  করেছে  প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা  এএনআই বলছে 53 টি বুথে  যান্ত্রিক কারণে ভোট  শুরু হতে দেরি হয়েছে।      
 

সকাল সাতটা নাগাদ দান্তেওয়ারায় একটি ভোট  গ্রহণ কেন্দ্রের কাছে  বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাতে  কেউ আহত হয়নি। একই সঙ্গে  সুকমার বুথের সামনে  থেকে  উদ্ধার  হয়েছে   আইইডি। এরপর গাছের তলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।  
 

 সুকমা ছাড়া কোন্টা থেকেও উদ্ধার হয়েছে আইইডি।  কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল  বোমাটিকে নিস্ক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

যে আসনে  আজ ভোট হচ্ছে  তার মধ্যে  আটটি রয়েছে  কংগ্রেসের দখলে। বাকি গুলিতে গত নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। ভোট  প্রচারের শেষলগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসরে  নামিয়েছিল বিজেপি। এ রাজ্যে  মাও কার্যকলাপের জন্য শহুরে নকশালদের দায়ী করেন  দুই নেতা। পাশাপাশি দু'জনেই বলেন এই শহুরে  নকশালদের  কংগ্রেস সমর্থন করে।.

এর আগে রবিবার সাতটি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাছাড়া কাঙ্কের জেলায়  নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে মাওবাদীরা। তাতে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়।

এনডিটিভিকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন রাজনীতিক এবং  পঞ্চায়েত প্রধানদের মতো জনপ্রতিনিধিদের উপর আক্রমণের  আশঙ্কা আছে। তাছাড়া  গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে  হেলিকপ্টার অবতরনের সময় মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে। তাই হেলিকপ্টার অবতরণের সময়  আশপাশের 900 মিটার জায়গা  ঘিরে  রাখছে  নিরাপত্তা বাহিনী। 

  তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী  পেশায় চিকিৎসক রমণ সিংয়ের ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে আজ । তাঁর বিরুদ্ধে আছেন বিজেপি  ছেড়ে কংগ্রেসে আসা করুণা  শুক্লা। সম্পর্কে তিনি  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর  আত্মীয়। মানসিক অত্যাচারের  কথা বলে  বছর পাঁচেক আগে  দল ছাড়েন করুণা। 

অজিত যোগীর দল  জনতা কংগ্রেস, কংগ্রেসের ভোট  ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে  পারে বলে  মনে  করা হচ্ছে। এবার  আদিবাসীদের মধ্যে ব্যপাক  প্রচার করেছে  তারা। আদিবাসীদের উন্নয়নের কথা বলেই ভোটের ময়দানে নেমেছেন অজিত। গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে প্রচার করেছে  তাঁর দল।  

  2003 সালে কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়  বিজেপি। সেসময় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত। বিরোধী আসনে বসার কিছু দিন বাদে  দল ত্যাগ করে  নিজের দল গড়েন অজিত। এবার ভোটের প্রচারের সময় দেওয়া  প্রতিশ্রুতি স্টাম্প পেপারে  নথিভুক্ত করেছে। মানে তাঁর  দাবি কথা  মতো কাজ না  করলে  তাঁকে  জেলে  পাঠানোও যেতে পারে।            

 দ্বিতীয়  দফা ভোট মিটে যাওয়ার পর ছত্তিশগড় কার দখলে থাকতে  চলেছে তা জানতে 11 ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে  হবে।  ওই একই দিন  জানা  যাবে  মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোটের ফলও। এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে কার্যত লোকসভা নির্বাচনের মহড়া হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক দলগুলি।