এখানে দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল
নতুন শতকের গোড়ায় মধ্যপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয়েছে ছত্তিশগড়। তারপর থেকে কংগ্রেস এবং বিজেপির লড়াই দেখে এসেছে এ রাজ্য। এবার আসরে অবতীর্ণ হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগী। তাঁর দল ভোটে লড়ছে। লড়াইয়ের ময়দানে আছে আম আদমি পার্টিও।
অজিত যোগীর ভূমিকা সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এবার কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে কড়া টক্কর হচ্ছে। তাতে যোগীর জন্য কোন পক্ষের লাভ হয় সেটাই দেখার। ২০১৩ সালে লড়াই হয়েছিল দুটি জাতীয় দলের মধ্যে। ভোটের ব্যবধান ছিল এক শতাংশেরও কম।
জীবনের ৭২ টি বসন্ত পার করে আসা অজিত জানিয়েছেন কোনও দলের সঙ্গেই নির্বাচনের পর জোট তিনি করবেন না।
আজ ভোটের ময়দানে আছেন প্রদ্রেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বাঘেল, বিরোধী দলনেতা টি এস সিং দেও। আছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চরণদাস মোহান্তও।
বিজেপির দিক থেকেও আছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। লড়ছেন দুই মন্ত্রী- ব্রিজমোহন আগরওয়াল, রাজেশ মুনাত এবং রাজ্য সভাপতি ধর্মলাল কৌশিক।
মায়াবতীর দল বিএসপি আর যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় জোটের হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রার্থী হয়েছেন অজিতের স্ত্রী রেনু যোগী এবং পুত্রবধূ রিচা।
বিজেপির হয়ে ছত্তিশগড়ে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গান্ধি পরিবারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,একটি পরিবারের জন্য দেশের উন্নয়ন ব্যহত হয়েছে।
ভোট শুরুর আগের দিন সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং বলেন, আমরা আশা করছি দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কিছুটা প্রভাব ফেলবে। তবে আমাদের সমর্থনেও ভোট দেবেন বহু মানুষ। আর তাই চতুর্থ বার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাফাল প্রসঙ্গ তুলে ধরে তোপ দাগেন। তুলে আনেন কৃষকদের সমস্যার কথা। শুধু সমস্যার কথা বলা নয়, ক্ষমতায় এলে কৃষি ঋণ মকুবের কথাও বলেছে কংগ্রেস।
আজ বিকেল থেকেই অপেক্ষা শুরু হবে ছত্তিশগড়ে। ১১ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানার সঙ্গে একদিনে ভোট গণনা হবে এখানে। জানা যাবে আগামী পাঁচ বছর কাদের হাতে থাকবে ছত্তিশগড়ের ব্যাটন।