যে আসনগুলিতে আজ ভোট হচ্ছে তার মধ্যে আটটি রয়েছে কংগ্রেসের দখলে।
হাইলাইটস
- 90 আসনের মধ্যে আজ ভোট হচ্ছে 18টিতে
- মাওহানা রুখতে আছেন প্রায় 1 লাখ নিরাপত্তা কর্মী
- বৈধ ভোটারের সংখ্যা 31 লাখের কিছু বেশি
রায়পুর:
এর আগে তিনবার রায়পুরের মসনদ দখল করে এসছে বিজেপি। এবার তাঁদের লক্ষ্য চতুর্থবার সরকার গড়া। অন্যদিকে দীর্ঘ দেড় দশক বাদে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে কংগ্রেস। লড়াইয়ের ময়দানে আছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দলও। কংগ্রেস ত্যাগ করে আলাদা দল করেছেন অজিত। এবার মায়াবাতীর বিএসপির সঙ্গে জোট করেছে তাঁর দল।
10 টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
যে আসনগুলিতে আজ ভোট হচ্ছে তার মধ্যে আটটি রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। বাকি গুলিতে গত নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। ভোট প্রচারের শেষলগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসরে নামিয়েছিল বিজেপি। এ রাজ্যে মাও কার্যকলাপের জন্য শহুরে নকশালদের দায়ী করেন দুই নেতা। পাশাপাশি দু'জনেই বলেন এই শহুরে নকশালদের কংগ্রেস সমর্থন করে।
অন্যদিকে স্থানীয় বিষয়কে গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস। ‘অনুন্নয়ন'-এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংয়ের ‘দুর্নীতিকেই' দুষেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পাল্টা রমণ বলেছেন রাহুলের অভিযোগ হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়। তবে ভোট পর্ব শুরুর ঠিক আগে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। দলত্যাগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি ঘনরাম শাহু।
কয়েক দশক ধরে ভোট বয়কট করতে চাওয়া মাওবাদীরা এবারও নির্বাচন পক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে সক্রিয়।
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা থেকে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ে এসেছে। পাল্টা ভোট ভাল ভাবে করতে দ্রোণের সাহায্য নিচ্ছে প্রশাসন।
সব মিলিয়ে প্রায় 1 লাখ নিরাপত্তা কর্মীকে ভোটের কাজে লাগানো হয়েছে। মোট 12 টি হেলিকপ্টারের ব্যবহার হচ্ছে । মোটর বাইক থেকে শুরু করে ফেরির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নতুন করে মাওবাদী হানায় কাঙ্কের জেলায় প্রাণ গিয়েছে এক বিএসএফ জওয়ানের। গত কয়েক দিনের মধ্যে এ নিয়ে সাত নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হল। তাছাড়া সবমিলিয়ে তিনশোটিরও বেশি আইইডি উদ্ধার হয়েছে।
আজ অন্যদের সঙ্গে ভোটে লড়ছেন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী পেশায় চিকিৎসক রমণ সিং। তাঁর বিরুদ্ধে আছেন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা করুণা শুক্লা। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর আত্মীয়।
অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস, কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার আদিবাসীদের মধ্যে প্রচার করেছে তারা।
2003 সালে কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সেসময় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত। দল ত্যাগ করে নিজের দল গড়া অজিত প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি স্টাম্প পেপারে নথিভুক্ত করেছে। মানে তাঁর দাবি কথা মতো কাজ না করলে তাঁকে জেলে পাঠানোও যেতে পারে।
দ্বিতীয় দফা ভোট মিটে যাওয়ার পর ছত্তিশগড় শেষমেশ কার গড় হতে চলেছে তা জানতে 11 ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওই একই দিন জানা যাবে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোটের ফলও।
Post a comment