সব মিলিয়ে 18 টি আসনে গোলমালের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাইলাইটস
- মাও হানার পর ছত্তিশগড় নির্বাচনের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হল
- 65 হাজার নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে হবে ভোট গ্রহণ
- প্রথম দফার ভোট12 এবং দ্বিতীয় দফার 20 নভেম্বর
নিউ দিল্লি: মাওবাদী হানার পর ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হল। কেন্দ্র এবং একাধিক রাজ্য থেকে 65 হাজার নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে হবে ভোট গ্রহণ। আর এই পরিমাণ নিরাপত্তা শুধু প্রথম দফার ভোটের জন্যই থাকছে। প্রথম দফার ভোট12 এবং দ্বিতীয় দফার 20 নভেম্বর। সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যের বিজাপুর এবং সুকমাতে মাও হানা হয়েছে। তাতে ন'জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে দূরদর্শনের এক চিত্রগ্রাহক। এরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং আরপিএফ থেকে জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে 18 টি আসনে গোলমালের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাস্তার, কাঙ্কের, সুকমা, বিজাপুর, দান্তেওয়ারা, নারায়ণপুর, কোঁদাগাঁও-সহ কয়েকটি জেলার আসনগুলি নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।
এমনিতেই বাস্তার জেলায় সিআরপিএফ মোতায়ন করা আছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও বাহিনী পাঠিয়ে নিরাপত্তা সুবনিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। একই ভাবে বিজাপুর এবং সুকমা জেলাতেও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।
এদিকে বিভিন্ন রাজ্যে ভোট করাতে যাওয়া বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে তাঁদের নিজস্ব বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থেকে শুরু করে নাইট ভিশন ডিভাইস এবং জিপিএসের মতো জিনিস নিয়ে যেতে হবে।
মাত্র ক'দিন আগে দান্তেওয়ারা জেলায় মাওবাদীদের আক্রমণে প্রাণ হারান দূরদর্শনের একজন ক্যামেরাম্যান। সেই সঙ্গে প্রাণ গিয়েছে দুই পুলিশ কর্মীরও। আরানপুর জঙ্গলের তরফ থেকেই আক্রমণটি চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এসআই রুদ্র প্রতাপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কনস্টেবল মংলু নামে দুই পুলিশ কর্মীর। আর মৃত চিত্র সাংবাদিকের নাম অচ্যুতানন্দ সাহু। তারও দিন তিনেক আগে মাওবাদী হানায় সিআরপিএফের চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণেই প্রাণ যায় জওয়ানদের। এ রাজ্যের বীজাপুর এলাকাতে এই ঘটনাটি ঘটে। আইইডি বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে জখম আরও দু'জন।