P Chidambaram case: দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই
নয়াদিল্লি:
শুক্রবার পর্যন্ত পি চিদাম্বরমের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ হল দিল্লি কোর্ট। আদালতে সিবিআই জানায়, দুর্নীতির মামলায় বুধবার পি চিদাম্বরম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না পি চিদাম্বরম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে আরও পাঁচদিন হেফাজতে চান তদন্তকারীরা। সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা চেয়ে তাঁর আবেদন শুনতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত, যেহেতু ইতিমধ্যেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, সেই কারণে এই আবেদন ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করে আদালত।ইডির দায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি থেকে আগামিকাল পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এখানে পড়ুন ১০টি তথ্য:
সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে বলেন, “যেহেতু বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে সহঅভিযুক্তের ভূমিকা জানা যায়নি, সেই কারণে চিদাম্বরমকে আরও পাঁচদিন হেফাজতে চাই আমরা”।
এর আগে চিদাম্বরমরে তরফে কপিল সিব্বল বলেন, “আমার শোনার অধিকার আছে”, মঙ্গল ও বুধবার পি চিদাম্বরমের দায়ের করা আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি করাতে দলের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে একথা বলেন তিনি। চিদাম্বরমের আইনজীবীর যুক্তি, যখন আদালত জানিয়েছে শুক্রবার মামলার শুনানি হবে, এজেন্সির উচিত ছিল, বুধবার তাঁকে গ্রেফতার না করে অপেক্ষা করা।
২০০৭ এ আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশী লগ্নি আনতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে।, সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের অনুরোধে আইএনএক্স মিডিয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে।
আইএনএক্স মিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের থেকে চিদাম্বরমের নাম উঠে আসে, শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জেলে রয়েছেন পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। এই মামলার রাজসাক্ষী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ই চিদাম্বরমের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে খবর।
আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত সপ্তাহে, সোমবার পর্যন্ত ইডিকে গ্রেফতারি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের জন্য ভারত ও বিদেশে শেল কোম্পানি খুলেছিলেন চিদাম্বরম, তাঁর সহযোগী ও অন্যান্য অভিযুক্তরা( নাম প্রকাশ করা হয়নি)।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “চিদাম্বরম প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা সাধারণ নাগরিক, যাই হোন, গ্রেফতারের আগে জামিন মঞ্জুর করা উচিত নয়, যদি অভিযুক্তের আবেদন ভাবনাচিন্তা করে সুপ্রিম কোর্ট, তাহলে সেটা হবে বিচারব্যবস্থার একটা হাস্যকর দিক”
বুধবার গ্রেফতার হন এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা, তার আগে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী, যদিও ব্যর্থ হন।
বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলন করেন পি চিদাম্বরম, তারপর সেখান থেকে দক্ষিণ দিল্লির বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
মঙ্গলবার, চিদাম্বরমের করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
Post a comment