বিশেষ আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে চিদাম্বরম
হাইলাইটস
- সোমবার পর্যন্ত চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি
- সৌধ-সম বিশালাকার টাকা নয়ছয়ের মামলা: সলিসিটর জেনারেল
- আদালতে শুনানির সময় তরজা তুষার মেহতা ও সিব্বাল-সিঙ্ঘভির
নয়াদিল্লি: রক্ষাকবচ নাকচ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case) আপাতত সিবিআইয়ের হেফাজতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)। এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, একই মামলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। তবে আগামী দুদিন তাঁকে থাকতে হবে হেফাজতেই। জামিনের বিরোধিতা করে ধৃতের বিরুদ্ধে ‘সৌধ-বিশালাকার' (monumental) অর্থ তথরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Solicitor General Tushar Mehta)। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, এটা সৌধ-সম বিশালাকার টাকা নয়ছয়ের মামলা।' চিদাম্বরমের বিপক্ষে বলার সময় সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘এই মামলায় অর্থ এসেছিল বাইরে থেকে। বিভিন্ন ডিজিটাল ডকুমেন্ট, ই-মেইল থেকে সেই প্রমান মিলেছে। বিদেশে চিদম্বরমের কমপক্ষে ১০টি সম্পত্তি ও ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট রয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা না করলে এর পেছনে যারা জড়িত তাদের ধরা যাবে না।'
সলিসিটর জেনারেল ও চিদাম্বরমের পক্ষে সিব্বল, সিঙ্ঘভির সওয়াল শুনে বিচারপতি আর বনুমতি এবং এএস বোপান্না জানান, ‘ইডির দায়ের করা এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হয়েছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত আবেদনকারীকে গ্রেপ্তার করা হবে না।' সোমবার ইডিকে তাদের তথ্য জমা করার কথা বলেছে আদালত।
গ্রেফতারির বিরুদ্ধে P Chidambaram-এর আপিলের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে সোমবার
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২০১৭ সালের ১৫ মে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। সেখানে বলা হয়েছিল ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ফান্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যাপারে নিয়ম মানা হয়নি। এর পর গত বছর ইডি এ ব্যাপারে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা রুজু করে। এই মামলাতে অভিযুক্ত পি চিদাম্বরম পুক্র কার্তিও। তাঁকেও হেপাজতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
‘‘এমন প্রশ্ন নেই আমি যার উত্তর দিইনি'': সিবিআইয়ের দাবি ওড়ালেন Chidambaram
আইএনএক্স মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের আবেদন করে অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার তা নাকচ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। হাইকোর্টের বিচারপতি চিদাম্বরমকে এই মামলার ‘রাঘভ বোয়াল' বলে জানান।