This Article is From Sep 05, 2019

"জেল কেন? ইডির হেফাজতে দিন", সুপ্রিম কোর্টে আর্জি পি চিদাম্বরমের

INX Media case: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই।

INX Media case:সুপ্রিম কোর্টে খারিজ পি চিদাম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন, এবার ইডির গ্রেফতারির মুখোমুখি হতে পারেন

হাইলাইটস

  • এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতারির মুখোমুখি পি চিদাম্বরম
  • শীর্ষ আদালত বলেছে যে এই পর্যায়ে আগাম জামিন দিলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি হবে
  • চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে ইডি
নয়াদিল্লি:

কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media case) দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের হাতেও গ্রেফতারির মুখোমুখি হতে চলেছেন। তাঁকে (P Chidambaram) গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে দিনের শেষে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হয় তিহার জেল অথবা দিল্লির একটি পুলিশ লক-আপে থাকতে হবে। "অর্থনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে আগাম জামিনের সুরক্ষা ভেবেচিন্তে প্রয়োগ করা উচিত, ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আগাম জামিন দেওয়ার মতো উপযুক্ত মামলা নয় এটি", বলে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সিবিআই হেফাজতে ১৫ দিন ধরে থাকা পি চিদাম্বরমের কাছে এটা একটা বিরাট ধাক্কা। আইএনএক্স মিডিয়া সংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। শীর্ষ আদালত বলেছে যে তদন্তকারী সংস্থাকে তার তদন্ত পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত স্বাধীনতা দিতে হবে, এবং এই পর্যায়ে আগাম জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির আগাম জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির আদালত

যদিও এয়ারসেল-ম্যাক্সিস দুর্নীতির মামলায়, কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এবং তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমকে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের গ্রেফতারির হাত থেকে আপাত ভাবে সুরক্ষা দেয় দিল্লির আদালত। বৃহস্পতিবারই তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদালত।

এদিকে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় সিবিআই অভিযোগ এনেছে যে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে ২০০৭ সালে তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট মিডিয়াকে বৈদেশিক তহবিল পেতে সুবিধা করে দিয়েছেন, দেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিজের অবস্থানের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

পরে, আদালতে সওয়াল করার সময় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা চিদাম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বলের মাধ্যমে চিদাম্বরম বলেন: "আমি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে যেতে ইচ্ছুক, তবে কেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে যেতে হবে? আমি বরং আত্মসমর্পণ করি, যাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে নেয়, তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই।"

৫%: কেন্দ্রীয় সরকারকে এক বাক্যে কটাক্ষ পি চিদাম্বরমের

যদিও সিবিআই বলে: "অভিযুক্ত একজন ক্ষমতাশালী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি, সুতরাং তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই প্রেরণ করা উচিত।" কপিল সিব্বল জবাব দেন যে তাঁর মক্কেল প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন বা মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।

যদি বৃহস্পতিবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে, তবে তিনি তুঘলক রোড থানায় যাবেন, যেখানকার জেলে কংগ্রেসের আরেক নেতা, ডি কে শিবকুমার রয়েছেন।

আর সংস্থাটি যদি পি চিদাম্বরমকে নিজেদের হেফাজত না নেয়, তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তিহার জেলে থাকবেন, সেখানে তাঁকে একটি কক্ষে রাখা হবে এবং অন্যান্য বন্দীদের মতোই আচরণ করা হবে তাঁর সঙ্গে। এর আগে সিবিআইয়ের হেফাজতে পি চিদাম্বরম সিবিআই ভবনের নিচতলার একটি ঘরে থাকতেন।

INX Media Case: পি চিদাম্বরমের সিবিআই হেফাজত বৃদ্ধি অযৌক্তিক, মনে করেন বিরক্ত বিচারক

পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বিরাট অঙ্কের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনে ইডি, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

শীনা বোরা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী এবং তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায় মুম্বইয়ের কারাগারে থাকার সময়েই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরম এবং তাঁর পুত্রের নাম করেন। জুলাইয়ে ওই নিয়ে লিখিত বিবরণও দেন ইন্দ্রাণী। 

পি চিদাম্বরমের অপরাধ “দেশের বিরুদ্ধে”, তাঁকে হেফাজতে প্রয়োজন, আর্জি তদন্ত সংস্থার

২০১৭-র মে মাসে সিবিআই প্রথম প্রকাশ্যে আনে, ২০০৭-এ আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থাকে বিদেশি অর্থ অনুমোদনে সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী। পরে ৩০৫ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পরে এই সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, ইন্দ্রাণী-পিটারের এই সংস্থার আর্থিক তছরুপে যুক্ত ছিলেন চিদম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তিও।  

কার্তি চিদাম্বরম, যিনি বিদেশি তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁকে ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ২৩ দিন পর জামিনে মুক্তিও পান তিনি।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে মঙ্গলবারই জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চিদাম্বরমের আইনজীবী আবেদন করেন, ৭৪ বয়সী কংগ্রেস নেতাকে যেন তিহার জেলে পাঠানো না হয়। সাধারণত, পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও জামিন না পেলে তাঁকে যেন জেলেই পাঠানো হয়। 

তিহার জেল নয়, চিদাম্বরমের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধি

তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া অ-জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন পি চিদাম্বরম । 

তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলাও। ২০০৬ সালে ৩,৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে ওই কোম্পানিকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি থেকে এ বিষয়ে অনুমোদনের কথা থাকলেও অর্থ মন্ত্রক থেকে অবৈধভাবে অনুমতি দেওয়া হয়, জানায় সিবিআই ।

.