চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৩০ জন চিকিৎসককে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল)
কলকাতা: রাজ্যের প্রথম ট্রমা কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আরও ৪,০০০ চিকিৎসক প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এসএসকেএমে ১০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হওয়া ট্রমা কেয়ারসেন্টারকে “দেশের সবচেয়ে ভাল ট্রমা কেয়ারসেন্টার” বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “১৫০ শয্যার ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি করতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়াও স্ক্যান ও এমআরআইয়ের জন্য আরও ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে”। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্রমা কেয়ার সেন্টারের জন্য ৭৬০টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে।
চিটফান্ডকাণ্ডে তদন্তে রাজ্যে ২২ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ২০১১-এ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাজ্যে আরও ৪,০০০ চিকিৎসক প্রয়োজন বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আর্থিক খরচ এবং সামাজিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভাল। হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ২৮,০০০ এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ২০টি। মেডিক্যালে আসন সংখ্যা ৩,৮০০ বাড়ানো হয়েছে”। তাঁর কথায়, “আমাদের এখনও ৪,০০০ চিকিৎসক প্রয়োজন। গ্রামাঞ্চলে ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্থানীয় ভাষা শিখতে হবে চিকিৎসকদের”।
মালদায় যুবককে পিটিয়ে খুন, গ্রেফতার ২
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিবসের দিনটিকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।সেই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে নার্সের সংখ্যা ৩২,০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫২,৯০০ করা হয়েছে, আরও নার্সিং কলেজ তৈরি করা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে পুরুষ নার্সের জন্য শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে”।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৩০ জন চিকিৎসককে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের বছর থেকে চিকিৎসকদের পাশাপাশি চিকিরসক দিবসে নার্সদেরও সম্মান জানানো হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “যদিও আমাদের সরকার আর্থিকভাবে খুব একটা শক্তিশালী নয়, তাও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের আমরা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি”।