প্রমোদ সাওয়ান্ত নিজের মন্ত্রিসভায় ১২ জন সদস্যকে নিয়েছেন।
পানাজি:
গোয়া বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের মৃত্যুর পর রাত সোমবার রাত ২টোর সময় শপথ নেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। আজ বিধানসভায় সংখ্যা গোরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন তিনি। গোয়ার বিধায়ক সংখ্যা ৪০। সদস্যদের দলত্যগা এবং মৃত্যুর কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৩৬।
গোয়ার বিধায়ক সংখ্যা ৪০। সদস্যদের দলত্যাগ এবং মৃত্যুর কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৩৬। এর মধ্যে কংগ্রেসের আছে ১৪ জন বিধায়ক। অন্যদিকে শাসক জোটের পক্ষে আছেন ২১ জন বিধায়ক। এর মধ্যে ১২ জন বিজেপির। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি এবং মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির তিঞ্জ জন করে সদস্য আছে। আর এর বাইরে আছেন তিন নির্দল বিধায়ক। এর মধ্যে ২০ জন ভোট দিল বিজেপির পক্ষে।
বিজেপি ও তার শরিক দলগুলির মধ্যে সমঝোতার ফলে ঠিক হয়েছে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সুধীন ধাভালিকর এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির বিজয় সরদেশাই হবেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। যদিও, এই দুই দলই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি রবিবার সন্ধেবেলাতেই মনোহর পাররিকরের প্রয়াণের খবর পেয়ে গোয়া পৌঁছে যান। বিজেপির দুই শরিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। তাতেও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল বিজেপি ও শরিকদলগুলির মধ্যে। মনোহর পাররিকরকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর শপথ নেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঠিক হয় বিজেপির বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হবেন প্রমোদ। অল্প সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পরিসষদীয় দলের নেতার নামের পাশাপাশি মন্ত্রিসভা সম্পর্কে বাকি সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় ওই বৈঠক থেকে।
কংগ্রেসের রয়েছে ১৫ জন বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৪ জন কম। এমতাবস্থায় সরকার গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা সেই সুযোগ না দেওয়ায় সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস। রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্টও বলে তারা।
২০১৭ এর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে হাং বিধানসভা হয়ে যায় কংগ্রেস বৃহত্তম দল হিসাবে জেতার পর। ওই সময়েই আসরে নেমে জোট গঠন করে বিজেপি সরকার গঠন করান নীতিন গডকড়ি।
গোয়াতে বিজেপির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন মনোহর পাররিকর।
ফের গোয়াতে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই শুরু হতে চলেছে। গত দু'দিনে দু'বার রাজ্যপালকে চিঠি তাদের সরকার গড়ার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছে কংগ্রেস।
Post a comment