தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Dec 24, 2019

প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পেতে চলেছে ভারত

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের রয়েছে এই প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদ, সেনা, নৌসেনা অথবা বায়ুসেনা থেকে এই পদে নিয়োগ করা হবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

এবারে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান পদের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লি:

প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (Chief of Defence Staff) পদ তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (Cabinet Committee on Security) । স্বশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংযোগরক্ষা করার কাজ করবেন এই আধিকারিক, পাশাপাশি সরকারের সেনাবাহিনী বিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করবেন তিনি। সমস্ত বাহিনীর কর্মরত প্রধানদের ওপরে থাকবেন প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান, দেশের অস্ত্রশস্ত্র কেনাকাটা করা থেকে শুরু করে বাহিনীর বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে কাজ করবেন তিনি। এই পদের মেয়াদ হবে নির্দিষ্ট, যা এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্যেরই এই পদ রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে, সাংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড় জানান, প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান হবেন ৪ স্টার জেনারেল, সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা বা নৌসেনা, যেখান থেকেই নিয়োগ করা হোক না কেন, তিনিই মিলিটারি বিভাগ সামালবেন এবং বাহিনীর প্রধান পদের সমান বেতন হবে তাঁর।

বর্তমান কাঠামোয়, বাহিনীর প্রধানদের কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ান। তবে তিনি প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান পদের মতো কাজ করেন না।

Advertisement

১৯৯৯ কার্গিল যুদ্ধের পরেই, বাহিনীর দেখাশোনার জন্য প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সেবার ভারতে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনারা, তারপরেই নিরাপত্তার খামতি চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়, এবং কার্গিলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে বলা হয়।

এবারে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান পদের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাহিনী দেশের গর্ব। বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে, লালকেল্লা থেকে আমি একটি বড় ঘোষণা করতে চাই। ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করা হবে। এর ফলে বাহিনী আরও কার্যকর হয়ে উঠবে”।

এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথমবারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারির্কর।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লালকেল্লার ঘোষণার পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নেতৃত্বে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়, সেই কমিটির রিপোর্টও এদিন অনুমোদন করে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধানের কার্যকলাপ এবং দায়িত্ব চূড়ান্ত করে কমিটি।

Advertisement