মুজাফফরপুরে শিশুমৃত্যু বেড়ে ৮৩
হাইলাইটস
- আরও এক শিশুর মৃত্যু হল মুজাফফরপুরে।
- এখনও পর্যন্ত এই অসুখে এই জেলায় ৮৩টি শিশুর মৃত্যু হল।
- নীতিশ কুমার মৃত শিশুদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
রবিবার সকালে এনকেফেলাইটিসে (AES) আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল মুজাফফরপুরে (Muzaffarpur)। এই নিয়ে এই মাসে এখনও পর্যন্ত এই অসুখে এই জেলায় ৮৩টি শিশুর মৃত্যু হল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) মৃত শিশুদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি থেকে একথা জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, জেলা প্রশাসন ও চিকিৎসকদের এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য আহ্বান করেছেন। রোগে আক্রান্ত অসুস্থ শিশুদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন তিনি। মুজাফফরপুর জেলা প্রশাসনের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্য সরকার পরিচালিত শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ও একটি অছি পরিষদ পরিচালতি কেজরিওয়াল হাসপাতালে ৮৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি শিশু শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও কেজরিওয়াল হাসপাতালে ১৪টি শিশু মারা গিয়েছে। প্রত্যেকেই এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বহরমপুরে সন্ত্রাসে নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের তিন সদস্য খুন!
তবে এও বলা হচ্ছে, অধিকাংশ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিয়েছিল, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কম হলে হয়। ১ জুন থেকে এনকেফেলাইটিস সন্দেহে ১৯৭টি শিশু শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। ৯১টি শিশুকে ভর্তি করানো হয় কেজরিওয়াল হাসপাতালে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তারা হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুজাফফপুরের আসবেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। পরে পাটনায় বিহারের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য দফতরের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। মুজাফফরপুরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, যিনি বিজেপির বিহার শাখার মুখ্যও বটে, তিনি শনিবার শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে আসেন। তিনি এতগুলি শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন ও তাঁকে স্বাগত জানানোর সব প্রক্রিয়াকে বাতিল করেন।
প্রধান বিল পাস করানোর লক্ষ্যে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক নরেন্দ্র মোদীর
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সচিব সঞ্জয় কুমার কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, এই অসুখ ১২টি জেলার ২২২টি ব্লকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত মুজাফফরপুর, বৈশালী, শেওহার ও পূর্ব চম্পারণ। বুধবার কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের এক দল মুজাফফরপুরে আসেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।