তিরুবনন্তপুরম: মাথার ওপর ছাদ নেই। উপলামুদু ব্রিজের (Uplamoodu bridge) নীচে ত্রিপলের তাঁবুতে বাস। পেটে খিদে আছে। কিন্তু ঘরে খাবার বাড়ন্ত। খিদের চোটে তখন মুঠো মুঠো নোংরা মাটি (mud) খায় কেরলের বাসিন্দা শ্রীদেবীর (Sreedevi) ছয় সন্তান। বলিউড হিরোইন শ্রীদেবীর জৌলুষ দেখে চোখে ধাঁধাঁ লাগত সবার। দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস এই শ্রীদেবীর করুণ দশা চোখে জল আনছে দেশের মানুষের। নিজের এবং সন্তানদের দূরবস্থার কথা জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি লিখতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। যদি তাঁর সন্তানদের দায়িত্ব নেয় কেরল সরকার, খেয়েপরে বাঁচবে তারা বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে মায়ের সন্তানপালনের ক্ষেত্রে অক্ষমতা চোখে আঙুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দিল, দারিদ্র্য দূরীকরণ আজও শুধুই ঢক্কানিনাদ।
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের নাম বদলের প্রস্তাব উপরাষ্ট্রপতির
মর্মান্তিক এমন খবর দিনের আলোয় আসে কেরলের শিশু কল্যাণ কমিটি (সিডব্লিউসি) যখন শ্রীদেবীর সাত এবং পাঁচ বছরের দুই ছেলে এবং চার ও দুই বছরের দুই মেয়েকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরেই এক মাসের দুই শিশু সহ শ্রীদেবীকে আশ্রয় দেওয়া হয় এক সরকারি স্বেচ্ছ্বাসেবী আশ্রমে। খবর জানাজানি হতেই নানা জায়গা থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন শ্রীদেবী। মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমের মেয়র কে শ্রীকুমার পুরসভার একটি অফিসে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁকে। সন্তানদের শিক্ষার পাশাপাশি মাথাগোঁজার জন্য ফ্ল্যাটের বন্দোবস্তরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।