কিছু অভিভাবকের লেখা চিঠিতে পুলিশকে সব অভিযোগ তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
হাইলাইটস
- সিএএ-বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করায় অভিযুক্ত কর্নাটকের স্কুল
- লিশ রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতার অভিযোগ এনেছে
- নাটকে অভিনয় করা এক খুদে পড়ুয়াকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছে পুলিশ
বেঙ্গালুরু: একটি খুদে পড়ুয়া চার-পাঁচ ঘণ্টা জেরা করল পুলিশ! কর্নাটকের বিদারের (Karnataka's Bidar) বাসিন্দা ওই শিশু গত ২১ জানুয়ারি স্কুলে একটি নাটকে অভিনয় করেছিল। অভিযোগ, সেই নাটকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করা হয়েছে (Anti-CAA Play)। গত সপ্তাহে পড়ুয়াটির মা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ওই পড়ুয়ার মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাটকে শিশুর বলা সংলাপের সূত্রে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে ওই স্কুলের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জেরা করা হয়েছে চারবার। বৃহ্স্পতিবার জানিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, ওই পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নাটকটি কার লেখা এবং শিক্ষক কি তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এ ব্যাপারে।
"ভোটারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সরকার": CAA ইস্যুতে সরব মহুয়া মৈত্র
স্কুলের সিইও তৌসিফ মাদিকারি জানাচ্ছেন, ‘‘ওদের প্রতিদিন ক্লাস থেকে চার-পাঁচ ঘণ্টার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট দুপুর ১টা নাগাদ আসছেন। ৪টে পর্যন্ত বাচ্চাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত চারদিন ধরে এরকমই চলছে। আমরা বুঝতে পারছি না কেন এটার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এটা কোনও ন্যায়পরায়ণ মানুষের কল্পনারও বাইরে।''
তিনি NDTV-কে আরও বলেন, ‘‘একজন অভিভাবক এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। এটা অভিভাবকদের জন্য মানসিক চাপ হয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের জন্যও। ওরা ভয়ে ভয়ে রয়েছে।''
কয়েকজন অভিভাবক খোলা চিঠিতে অভিভাবক ও প্রধান শিক্ষিকার গ্রেফতারি এবং পড়ুয়াদের বারংবার জিজ্ঞাসাবাদের নিন্দা করেছেন।
যে শিশুটির মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে নাটকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে, ‘‘জুতো মারব।''
ক্লিপটি ভাইরাল হতেই পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতার অভিযোগ এনেছে স্কুলের বিরুদ্ধে।
অভিভাবকদের লেখা চিঠিতে স্পষ্ট প্রতিবাদ করা হয়েছে ছোটদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এমনকী ৯ বছরের শিশুকেও পুলিশ জেরা করেছে। পুলিশের এহেন আচরণকে ‘‘বেআইনি ও অমানবিক'' বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, অভিভাবকরা চান না তাঁদের সন্তানরা ভয়ের আবহে বেড়ে উঠুক। দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দু'জনকে ছেড়ে দিয়ে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিক পুলিশ।