সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে শ্বেতপত্রে
হাইলাইটস
- বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ
- মুম্বই হামলা শুধু ভারত নয় গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক হামলা
- একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভের ফাঁসি হয়
বেজিং: ২০০৮ সালে মুম্বইতে (Mumbai Attack) যে হামলা হয়েছিল তা সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) ইতিহাসে সবচেয়ে নক্কারজনক উদাহরণ গুলির মধ্যে অন্যতম। পাকিস্তানের মাটিতে বসে লস্কর-ই- তইবা (Laskar-E-Taiba) যে হামলা করেছিল তার মতো ভয়াবহ ঘটনার সংখ্যা খুবই কম। নিজেদের সাম্প্রতিক অবস্থান থেকে সরে অবশেষে মুম্বই হানার অভিঘাত স্বীকার করল চিন। দেশের ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে চিন জানায় সন্ত্রাসের আতঙ্ক উদ্বেগের বিষয়। বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। এখানেই ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের মুম্বই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে নক্কারজনক উদাহরণ গুলির মধ্যে অন্যতম বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই পত্র যে সময় প্রকাশিত হচ্ছে ঠিক তখন চিনে গিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি। শ্বেতপত্রে বেজিং লিখেছে গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা শান্তির পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে। চিন সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই শ্বেতপত্রে। তাছাড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে সেখানে।
রাত ২টোয় শপথ নিলেন গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত: ১০ টি তথ্য
মুম্বই হামলা শুধু ভারত নয় গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক হামলা। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১৬৬ জন। তার মধ্যে বিদেশিও ছিলেন কয়েকজন। সেদিন হামলা চালায় লস্কর- ই-তইবার দশ জঙ্গি। মৃত্যু হয় ন' জনের। পরে একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভের ফাঁসি হয়।
শ্বেতপত্র প্রকাশের মাত্র কয়েক দিন আগে জইশ –ই – মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণার ক্ষেত্রে আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। এ নিয়ে পর পর চার বার বাধা দিল বেজিং। কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর আমেরিকা ব্রিটেন এবং ফ্রান্স মাসুদকে এই তকমা দিতে চেয়েছিল। কিন্ত এবারও ভেটো দেয় চিন। গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে দেখছে ভারত। সেই ঘটনার পর অবশ্য অন্য এক প্রসঙ্গে ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন মাসুদকে নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ চিন বুঝতে পারে আর এই সমস্যার সমাধানও হবে।