দু’টি ছবির একটি একটি ৬ এপ্রিল তোলা, অন্যটি ২১ মে-র।
নয়াদিল্লি: উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গিয়েছে প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে চিনা (China) বিমান ঘাঁটিতে (China Airbase) ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, গত ৫ ও ৬ মে প্যানগং লেকে (Pangong Lake) ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিট্রেসফা' সূত্রে গারি গুনসা বিমানবন্দরের দু'টি ছবি সামনে এসেছে। একটি ৬ এপ্রিল তোলা। অন্যটি গত ২১ মে-র। দু'টি ছবিতেই দেখা গিয়েছে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে সেখানে। মনে করা হচ্ছে ওখানে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার রাখার ঘাঁটি হচ্ছে। এছাড়াও আরও একটি ছবি সামনে এসেছে। সেই তৃতীয় ছবিতে কাছ থেকে বিমানবন্দরটিকে দেখা যাচ্ছে। যার প্রধান রাস্তায় চারটি যুদ্ধবিমানকে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ওগুলি চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স'-এর জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান।
জে-১১ বা জে-১৬ হল রাশিয়ান সুখোই ২৭-এরই উন্নত, দেশীয় সংস্করণ। এর সঙ্গে ভারতের সুখোই ৩০ এমকেআই-এর অনেকটাই মিল রয়েছে। ওই ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ওখানে প্রথম ওই যুদ্ধবিমানগুলি মোতায়েন করা হয়েছে।
এই গারি গুনসা বিমানবন্দরের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪,০২২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই বন্দরটি সেনা ও যাত্রীবাহী বিমান দুইয়ের উড়ানের জন্যই ব্যবহৃত হয়। প্রকৃত সীমান্তরেখার খুব কাছে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের একটি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এতটা উঁচু থেকে এখানে কেবল সীমিত যুদ্ধ সামগ্রী ও জ্বালানিই বহন করা সম্ভব।
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সেনানী অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার সমীর যোশী জানিয়েছেন, ‘‘এই জাতীয় উচ্চতাতে মোতায়েন করা চিনা জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যকরী ক্ষমতা এক ঘণ্টার বেশি হবে না।'' তাঁর দাবি, ‘‘বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি বরং তিন থেকে চার ঘণ্টা লড়তে পারবে যদি আকাশপথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে হয়।''
অর্থাৎ ওই এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি চিনা যুদ্ধবিমানের থেকে অনেক দীর্ঘ সময় আকাশপথে থাকতে পারবে।
খবর মিলছে যে, হাজার হাজার চিনা সেনা হয় লাদাখের প্রকৃত সীমান্তরেখা হয় অতিক্রম করেছে অথবা তার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ৫ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় প্যানগং লেকের উত্তর তীরে।