জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir and Ladakh) রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ভারতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে চিন, কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে “বেআইনি এবং শূন্যগর্ভ” বলে মন্তব্য করে তারা। এরপরেই চিনের সমালোচনায় করল ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ চিনের অবৈধভাবে দেখল করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, “চিনসহ অন্যান্য দেশের থেকে আমরা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য চাই না, যেমনটা, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকে ভারত”। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের তিনমাস পর, বুধবার মধ্যরাতে, জম্মু ওকাশ্মীর রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারমধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর ও অপরটি লাদাখ।
ভারতের পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়ে চিন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত এমন কিছু জায়গায়. রয়েছে, যে কারণে, তাদের সার্বভৌমত্ত্ব “চ্যালেঞ্জের” মুখে।
অনুচ্ছেদ ৩৭০, ৩৫এ আসলে "সন্ত্রাসের প্রবেশদ্বার" ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেটি বন্ধ করলেন: অমিত শাহ
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বেজিং-এ বলেন, “ভারত সরকার, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের তথাকথিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারিভাবে ঘোষণা্ করেছে, তার কিছু এলাকা চিনের প্রশাসনিক এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে”। তিনি বলেন, “চিন এতে দুঃখপ্রকাশ করছে, এএবং পুরোপুরিভাবে বিরোধিতা করছে। এটা বেআইনি এবং শূন্যগর্ভ, এবং এটা কোনওভাবেই কার্যকর হওয়ার নয়, এটা যে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের আওতায়, তার কোনও পরিবর্তন হবে না”। পাশাপাশি চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ভারতের উচিত “চিনের ভুখণ্ডের সার্বভৌমত্ত্বকে” সম্মান জানানো, এবং “সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানো”।
চিনের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত, মনে করিয়ে দিয়েছে, ভারতও আশা রাখে, অন্য দেশ “ভারতের ভুখণ্ডের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ত্বকে সম্মান জানাবে”।
নতুন পরিচয় পেল জম্মু ও কাশ্মীর, শুরু হল নতুন পথ চলা
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই, অগস্টে চিনে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কে এস জয়শঙ্কর বলেন, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং না ভারতের বৈদেশিক সীমান্ত, না নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রভাব ফেলবে। চিনকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা বৈদেশিক সীমান্তের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ হবে না। ভারত অতিরিক্ত কোনও ভুখণ্ডের দাবি জানায়নি।এই বিষয়টি, ভারতের সাংবিধানের উল্লেখিত আইন অনুযায়ী নেওয়া একটি আপতকালীন পদক্ষেপ এবং দেশের বিশেষ সুবিধার জন্য”।
নয়া তৈরি করা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বিশাল অংশের মধ্যে চিনের অনেক অংশ রয়েছে। ১৯৬৩-এর চিন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, অবৈধভাবে ভারতের থেকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভুখণ্ড দখল করে রেখেছে।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে পাকিস্তানও, সমালোচনা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তিনি বারবার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, যদিও তাসফল হয়নি। এমনকী, রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তারা বিষয়টি তুলে ধরেছে। যদিও তাজের বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
অক্টোবরে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুটি রাষ্ট্রসংঘে তোলায় পাকিস্তানের সমালোচনা করে ভারত।
পিটিআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে