মাসুদ আজাহারকে(Masood Azhar)রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রে আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে চিন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের প্রস্তাবে কোনও আপত্তি না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তারা। জইশ প্রধান(Jaish-e-Mohammed)মাসুদ আজাহারকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে চিনের বাধা সরে যাওয়ার পরেই তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রসংঘ। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারকে নিয়ে চিন আপত্তি প্রত্যাহার করায় তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করল রাষ্ট্রসংঘ, যা ভারতের কাছে বড় কূটনৈতিক জয়। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, “সংশোধিত তথ্যাদি যাচাই করার পর এবং বিভিন্নপক্ষের মতামত বিবেচনা করার পর, এই প্রস্তাবে কোনও আপত্তি নেই চিনের”।
আপত্তি প্রত্যাহার চিনের, আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজাহার
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর কমিটিতে তালিকাভুক্ত করার নিয়ম উল্লেখিত আছে। চিনা বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষভাবে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে যথাযথ প্রমাণ ও সমস্ত পক্ষের সম্মতিতে করা উচিত”।
ভারত সহ অন্যান্য দেশ থেকে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদানের” জন্য পাকিস্তানের প্রশংসা করেছিল চিন।
সংবাদসংস্থা আইএএনএসের তথ্য অনুযায়ী, চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান যথাযথ পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি প্রাপ্য তারা। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং সন্ত্রাসবাদী দমনে পাকিস্তানের চেষ্টাকে সমর্থন চালিয়ে যাবে”।
"ইতিবাচক অগ্রগতি", মাশুদ আন্তর্জাতিক অপরাধী তালিকাভুক্ত করা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চিনের
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করায় ভারতের চেষ্টাকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছিল চিন।
১৯৯৯ সালে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় যাত্রীদের মুক্তির বদলে তার মুক্তি দেয় তৎকালীন বিজেপি সরকার। তারপরেই পাকিস্তানে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠন তৈরি করে ভারতের সংসদে হামলা, পাঠানকোটে হামলা, জম্মু কাশ্মীরে সেনা ছাউনিতে হামলা পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে হামলার মতো ঘটনা ঘটে।