India-China Border:ভারত-চিন সীমান্তে সম্প্রতি ফের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- ভারত এবং চিনের সীমান্তে এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সব ধরণের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে
- দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার বিষয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব খারিজ করল চিন
নয়া দিল্লি: ভারতের (India) সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করল চিন। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুসারে ড্রাগনের দেশের (China) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "চিন এবং ভারত দুই দেশই তাদের মধ্যেকার সমস্যা সমাধানে সক্ষম"। ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর (India-China Border Row) তৈরি হয়েছে। ৯ মে, একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে তাঁরা।
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আমেরিকা: ডোনাল্ড ট্রাম্প
"চিন এবং ভারত আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে বিষয়গুলির যথাযথভাবে সমাধান করতে সক্ষম", এমনটাই জানিয়েছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
বুধবারই হঠাৎ সকলকে অবাক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে ভারত এবং চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন। আমেরিকার সর্বেসর্বা তাঁর টুইটে লেখেন, "আমরা ভারত ও চিন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!"
"দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আমরাই মেটাবো!" চিন নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ফেরাল দিল্লি
এই প্রস্তাবের পরেই মুখ খোলে চিন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই প্রস্তাবের বিষয়ে প্রথমবার প্রতিক্রিয়া দিয়ে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, সামরিক পরিস্থিতির সমাধানে কোনও তৃতীয় পক্ষের "হস্তক্ষেপ" চায় না দু'দেশ।
চিনা বিদেশ মুখপাত্র ঝাও সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "চিন ও ভারতের মধ্যে আমাদের সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং যোগাযোগের সংস্থান রয়েছে।" তিনি পরিষ্কার ভাবে আরও বলেন, "আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে হওয়া সমস্যাগুলোর যথাযথভাবে সমাধান করতে সক্ষম। এবিষয়ে আমাদের তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও দরকার নেই"।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, চিনের সঙ্গে তাদের মতবিরোধের মধ্যস্থতায় আমেরিকার সাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, "কূটনৈতিক স্তরে দিল্লি ও বেজিং আলোচনা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সামরিক স্তরে উত্তেজনা কমাতে আলোচনা করছে দুই দেশের বাহিনী। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতি বজায়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এই দুই পড়শি দেশ।"
কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, "দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সেই পার্থক্যের ছায়া যাতে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে, পারস্পরিক বোঝাপড়া যাতে নষ্ট না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে এই মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।"