This Article is From Apr 02, 2020

করোনা লড়াইয়ে ভেন্টিলেটর জোগান দিয়ে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল চিন

বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভেন্টিলেটর নির্মাণে ভারতকে সাহায্য করতে চায় চিন। তিনি জানান, ভারতকে পরিপূর্ণ সহায়তা করবে চিন।

করোনা লড়াইয়ে ভেন্টিলেটর জোগান দিয়ে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল চিন

ভেন্টিলেটর নির্মাণ নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ভারত। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইৱাসের সঙ্গে লড়তে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চায় চিন
  • তারা ভেন্টিলেটর নির্মাণে ভারতকে সাহায্য করতে চায়
  • ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক
নয়া দিল্লি:

দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে বুধবার চিন (China) জানাল, তারা করোনা আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর (Ventilators) প্রস্তুত করতে ভারতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তার জন্য সংস্থাগুলির প্রয়োজন জরুরি পার্টস। না হলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। চিনের এক ভেন্টিলেটর নির্মাতা জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভেন্টিলেটর বানানো খুব সহজ কাজ নয়। কেননা এর জন্য জরুরি পার্টস চাই। চিনের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ভারত চিন সহ অন্য দেশের কাছে মেডিক্যাল সামগ্রী উৎপাদনের ব্যাপারে সাহায্য চেয়েছে। এবছরের জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাসের বাড়তে থাকা প্রকোপের দিকে লক্ষ রেখে ভারত চিনের সঙ্গে মেডিক্যাল সামগ্রী লেনদেনের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। পরে ফেব্রুয়ারিতে ভারত থেকে ১৫ টন মেডিক্যাল সামগ্রী চিনে পাঠানো হয়।

আত্মগোপন করে থাকা মৌলানা সাদের অডিও বার্তা প্রকাশ্যে

বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভেন্টিলেটর নির্মাণে ভারতকে সাহায্য করতে চায় চিন। তিনি জানান, ‘‘আমরা ভারতের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব ও তাদের পরিপূর্ণ সহায়তা করব।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘সারা বিশ্বেই ভেন্টিলেটরের চাহিদা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চিনের উপরেও চাপ রয়েছে এই রোগের মোকাবিলার। একটি ভেন্টিলেটর তৈরি করতে এক হাজারেরও বেশি পার্টস লাগে। এই সব পার্টস বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। তাই কম সময়ে বেশি পরিমাণে ভেন্টিলেটর তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে চিনের সংস্থাগুলি এই নিয়ে কাজ করে চলেছে। আমরা ভারতকে সাহায্য করতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।''

১৫ এপ্রিল থেকেই চালু রেল, বিমান পরিষেবা?

চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯ মার্চ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ১৭০০ ভেন্টিলেটর বিভিন্ন দেশে রফতা‌নি করেছে। এই সময়ের মধ্যে চিনের ২১টি সংস্থা ভেন্টিলেটর নির্মাণ করেছে। এক সপ্তাহে তৈরি করা হয়েছে ২২০০টি ইউনিট। তাদের কাছে অর্ডার রয়েছে ২০ হাজার ভেন্টিলেটরের। ক্রমেই বাড়ছে চাহিদা। 
ভেন্টিলেটরের চাহিদার পাশাপাশি তাদের নিকৃষ্ট পণ্যগুলিকে নিয়ে ওঠা অভিযোগেরও মোকাবিলা করতে হচ্চে চিনকে। গত মঙ্গলবার চিন জানিয়েছে, স্পেনকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার খারাপ কিট দিয়েছে চিনের যে সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্ক থেকেও একই রকম অভিযোগ এসেছে।

.