Coronavirus Outbreak: কেরলে ইতিমধ্যেই ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- কেরলে করোনা ভাইরাস ক্রমশই থাবা বসাচ্ছে
- ইতিমধ্যেই ৩ জনের সন্ধান মিলেছে সেখানে
- সে রাজ্যে "বিপর্যয়" ঘোষণা করেছে কেরল সরকার
তিরুবনন্তপুরম: গত ৫ দিনে তিন-তিনটি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান (Coronavirus Cases in Kerala) মিলেছে কেরলে, যা দেখে শুনে আতঙ্কে সে রাজ্য সহ গোটা দেশের মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবারই সে রাজ্যে "বিপর্যয়" ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। নতুন করে যাতে কেরলে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যে ইতিমধ্যেই নজরদারি, যোগাযোগ রক্ষা এবং কাউন্সেলিং সংক্রান্ত কাজের জন্য ৪০,০০০ এরও বেশি স্বাস্থ্য আধিকারিক, সরকারি কর্মচারী, গ্রাউন্ড স্টাফকে একত্রিত করা হয়েছে। এই ভাইরাল রোগটির প্রথম সন্ধান মেলে গত ডিসেম্বরে চিন দেশে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস।এই রোগের কারণে ইতিমধ্যেই ৪৫০ জন মানুষ মারা গেছে। যেভাবে ২০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারাত্মক ভাইরাস তাতে গত সপ্তাহেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা "হু"।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা সোমবার সকালে বলেন, "কাসারগোদের কাঞ্জানগড় জেলা হাসপাতালে ওই রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।" কাসারগোদ শহরটি উত্তর কেরলে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। প্রথম ঘটনাটির সন্ধান মেলে ৩০ জানুয়ারি মধ্য কেরলের ত্রিশূরে। রবিবার, কেন্দ্রীয় সরকার আলাপুঝায় ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর কথা প্রকাশ্যে আনে। গোটা কেরলের সবকটি জেলায় ২টি করে হাসপাতালে আলাদা করে বিশেষ বিভাগ তৈরি করে মোট ২৮টি জায়গায় চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Coronavirus Cases in India: কেরলে এই নিয়ে ৩ জন আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে, সকলেই চিন ফেরত
গত ৩ দিনে, ৮০ জনেরও বেশি মানুষ - করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ওই ৩ রোগীর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসায় তাঁদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে এবং একটি হাসপাতালে বিশেষ বিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়াও গোটা রাজ্য জুড়ে ২,২৩০ জনেরও বেশি মানুষের উপর কড়া নজর রাখছে কেরল সরকার; এর মধ্যে প্রায় ৭৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন এবং বাকিদের ঘরের মধ্যেই চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চিন সফরের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেরলের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পরে কেউ চিন থেকে ফিরলে তাঁকে পৃথক ভাবে রাখা হবে। জানুয়ারি মাসেই চিন থেকে ফেরা মিজোরামের দুই বাসিন্দাকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
"কেরলে সরকারি আধিকারিকদের সমস্ত ছুটি বাতিল হয়ে গেছে, সাত জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্যে মুসৌরি পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু এখন তাদের রাজ্যেই থাকতে বলা হয়েছে। সকলকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে", জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
Coronavirus: সামনেই বিয়ে, অথচ চিনে আটকে পড়েছেন ভারতীয় মহিলা! সাহায্যের আবেদন...
অযথা যাতে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন মানুষ তার জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কেরল সরকার। "আমরা রাজ্যের মানুষকে ফোনে আশ্বাস দিচ্ছি যাতে তাঁরা অযথা আতঙ্কে না ভোগেন, তাঁরা যদি এ নিয়ে উদ্বেগে থাকেন, তাঁদের যদি রাতের ঘুম চলে যায় তাহলে তাঁরা যে কোনও সময় সহায়তার জন্যে ফোন করতে পারেন বিশেষ নম্বরে, এই ফোন নম্বরটি 24x7 কার্যকর। আমরা ইতিমধ্যেই গত রাজ্যের ১০ জেলায় ১০৫ জন কাউন্সিলর নিয়োগ করেছি", বলেন কেরলের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।