সদ্য ড্রাইভিং টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে যেন হাওয়ায় উড়ছিলেন চিনের (China) এক বাসিন্দা। কিন্তু সেই আনন্দের স্থায়িত্ব মাত্র কিছুক্ষণের জন্যেই হল, কেননা তারপরেই সাড়ে সর্বনাশ! ভাবছেন কী এমন হলো? আরে মশাই কী হলো না তাই বলুন! ঝাং নামের ওই ব্যক্তি গাড়ি চালানোর জন্যে লাইসেন্স পেয়ে ভেবেছিলেন হাতে স্বর্গ পেয়ে গেছেন, কিন্তু নিজেই যে আর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় স্বর্গে যেতে চলেছেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। ঘটনা হল, ড্রাইভিং টেস্টে পাশ করে ওই ব্যক্তি তাঁর বন্ধুদের সুখবরটা দিয়েছিলেন। যথারীতি বন্ধুরাও তাঁর এই সাফল্যে মোবাইলে ফোন বা এসএমএস করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছিলেন। আর সেসব পেয়ে খুশিতে ডগমগ ছিলেন ওই ব্যক্তি। এমনই আত্মহারা অবস্থা যে গাড়ি চালাতে চালাতে স্টেয়ারিং ছেড়ে দিয়ে এসএমএসের উত্তর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ব্যস আর যায় কোথায়। গাড়ি নিজের মতো গড়গড়িয়ে চলে রাস্তার পাশে থাকা নদীতে (Car in River) তাঁকে নিয়ে দিল মরণঝাঁপ। গোটা ঘটনাটি (Viral News) বন্দি হয়েছে ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভির ক্যামেরায়।
প্রকাণ্ড হাতিকে পিছু হঠতে বাধ্য করল ছোট্ট মহিষ ছানা! ভাইরাল সেই ভিডিও
ডেইলি মেলের খবরে প্রকাশ, ওই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি চিনের জুনি শহরে। ওই দুর্ঘটনার ছবি শেয়ার করে খোদ জুনি ট্র্যাফিক পুলিশ। তারাই জানায় যে ওই দুর্ঘটনার ঠিক দশ মিনিট আগে গাড়ির মালিক ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়েছিলেন। ভিডিওটি শেয়ার করার পরপরই ভাইরাল (Viral Video) হয়ে যায়, আবার এই ভিডিওটি ইউটিউবে শেয়ার করেন হিরো নামের আরেক ব্যক্তি।
দেখুন সেই Video:
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া গাড়ির চালক ঝাং জানিয়েছেন, "আমি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার ফোনে একটি অভিনন্দন বার্তা এলো। আমি উত্তর দেওয়ার জন্য ফোনটি হাতে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই দেখি সামনে থেকে দু'জন লোক এগিয়ে আসছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে গাড়িটি ডানদিকে ঘোরাতে গেছিলাম। কিন্তু তা না করে ভুল করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে ফেলি গাড়িটি, তার ফলেই ওই দুর্ঘটনা"। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন," "দুর্ঘটনার আগে আমি গাড়িটিতে একটি নতুন নম্বর প্লেট লাগিয়ে মাত্র ১০ মিনিটের জন্যে চালিয়েছিলাম।"
ফ্যাশন স্টোর থেকে কীভাবে সুকৌশলে নেকলেস সরালো চোর, দেখুন সেই ভিডিও
তবে রাখে হরি মারে কে! ঝাং গাড়ি সমেত নদীতে পড়ে যাওয়ার পরে ভাগ্যক্রমে দরজা খুলে ডুবন্ত গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। পরে তাঁকে এবং তাঁর গাড়িটিকে একটি ক্রেনের সাহায্যে নদী থেকে তোলা হয়। দুর্ঘটনায় তাঁর কাঁধের হাড় সরে গেছে। তবে গোটা ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।