চীন জানিয়েছে "দেশগুলির উচিৎ সমবেতভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা"
নিউ দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি শুক্রবার গভীর সমবেদনা জানিয়েছে প্রতিবেশী চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে দেওয়া একটি বার্তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি জোর দিয়ে বলেছেন যে, “সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির সাধারণ শত্রু এবং চীন দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নিন্দা পোষণ করে।” পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার প্রায় অবিলম্বেই দায় স্বীকার করে নিলেও চীনের এই বিবৃতিতে পাকিস্তানের কোনও উল্লেখ মেলেনি।
এক স্বরেই হোক প্রতিবাদ, জঙ্গি হামলা রুখতে একজোট হয়ে মোকাবিলার কথাই উঠে এল সর্বদলীয় বৈঠকে
ওয়াং ইয়ি তাঁর বার্তায় সুষমা স্বরাজকে বলেছেন, “এই অঞ্চলের দেশগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে, যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।" ভারত জানিয়েছে যে, পুলওয়ামার আক্রমণে পাকিস্তানের জড়িত থাকার ‘অবিচ্ছিন্ন প্রমাণ' রয়েছে। পাকিস্তান সরকার যদিও বিষয়টিকে ‘গুরুতর উদ্বেগে'র বলে পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পাকিস্তানকে দেওয়া ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ'-এর তকমা সরিয়ে নেওয়া হবে এবং সারা বিশ্বে এই দেশটিকে কার্যত ‘একঘরে' করে রাখা হয় যাতে তাও নিশ্চিত করবে। দুই পক্ষের মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্য নিশ্চিত করার জন্য ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ'-এর তকমা দেওয়া হয় কোনও দেশকে। ভারত জাতিসংঘের সদস্যদেরকে অনুরোধ করেছে যাতে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘জাতিসংঘের মনোনীত সন্ত্রাসবাদী' বলে চিহ্নিত করা হয় এবং ‘পাকিস্তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা'র আহ্বানও জানিয়েছে। ভারত স্পষ্টতই চীনের উল্লেখও করেছে, যেহেতু চীন এই বিষয়ে পাকিস্তানকে মদত দিতে ও মাসুদকে চিহ্নিত করতে জাতিসংঘকে নিরস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবি ভারতের!
ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে ডোভালের সঙ্গে কথা আমেরিকার মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টার
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলি সন্ত্রাসবাদের বিপদ মোকাবিলায় ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তবে চীন এখনও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের প্রতি তাঁদের অবস্থান পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে, একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৭৮ সিআরপিএফ বাসের সঙ্গে ৬০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই একটি বড় গাড়ির সংঘর্ষ ঘটানো হয়। ২৫০০ জনেরও বেশি জওয়ান জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী হাইওয়েতে ছিলেন সেই সময়। বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ান নিহত হন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)