Jack Ma: ভারতের মুকেশ আম্বানির পরেই জ্যাকই এই মহাদেশের সবচেয়ে ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ।
আলিবাবা (Alibaba) গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড থেকে অবসর নিলেন জ্যাক মা (Jack Ma)। এই গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক দীর্ঘ সময় এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। প্রাক্তন ইংরেজির শিক্ষক জ্যাক চিনের সবথেকে বড় সংস্থার এগজিকিউটিভ পদ থেকে নিজের ৫৫তম জন্মদিনের দিন অবসর নিলেন। ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নারিস ইনডেক্স'-এর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতের মুকেশ আম্বানির পরেই তিনি এই মহাদেশের সবচেয়ে ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪১.৮ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯৯ সালে নিজের বাড়িতে ব্যবসা শুরু করা জ্যাকের ই-কমার্স সম্রাট হয়ে ওঠার কাহিনি গল্পকথাকেও হার মানায়। চিনের বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার পিছনে এই সাফল্য প্রতিফলিত হয়।
গত দু'দশক ধরে জ্যাক ও তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা মিলে এই ব্যবসায় উত্তুঙ্গ সাফল্য পেয়েছেন। ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের এই ব্যবসায় তাঁরা ই-বে বা আমাজন-এর মতো সংস্থাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বড় কম্পিউটিং ব্যবসা এই সংস্থার। এছাড়াও রয়েছে একটি লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক যা প্রতিদিন লাখ লাখ পার্সেল পৌঁছে দেয় সারা পৃথিবী জুড়ে। এবার সেই সাফল্যের চুড়োয় পৌঁছনোর পর সরে দাঁড়াচ্ছেন জ্যাক। ড্যানিয়েল ঝ্যাংয়ের হাতে সব দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
২০১৬ সালে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন ডালিয়ান ওয়ান্ডা গ্রুপের সভাপতি ওয়াং জিয়ানলিনকে পিছনে ফেলে। কবে এখন এই তকমা তাঁর দখলে নেই। এখন এই তকমা ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির দখলে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার। ‘ব্লুমবার্গ' প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৫০০ জনের তালিকা থেকে এই তথ্য জানা যাচ্ছে।
জ্যাক চিনের বাণিজ্যিক অভ্যুত্থানের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৫ সালে জ্যাক জানিয়েছিলেন কেএফসি তাঁর চাকরির দরখাস্ত বাতিল করেছিল। পরে তিনিই আলিবাবার দৌলতে বিপুল ধনী হয়ে ওঠেন। তবে জ্যাকই একমাত্র ব্যাক্তি নন, যিনি এই সংস্থার দৌলতে ধনকুবের হলেন। আরও ১০ জন কোটিপতি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।