This Article is From Aug 24, 2019

কাঠগড়ায় অবিশ্বাস, স্ত্রীকে খুন করল এক চিনা ব্যক্তি: কলকাতা পুলিশ

তদন্তে নেমে পুলিশ বছর ৬২-এর লি হান থো-কে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তই তার স্ত্রী ও বাবকে বালতি দিয়ে আঘাত করে।

পুলিশি জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করে অভিযুক্ত লি।

কলকাতা:

ট্যাংরায় জোড়া খুন (double murder)। কলকাতার চায়নাটাউনে (Chinatown) শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় এক চিনা (Chinese-origin) মহিলা ও বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। লোহার বালতি দিয়ে মেরে মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। ভারী আঘাতের চিহ্ন ছিল মাথাতেও। দু'জনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃদ্ধকে। চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছেন, মৃত দুই ব্যক্তিই ট্যাংরার এই চিনা পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে মৃতার শ্বশুর নিহত বৃদ্ধ। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার স্বামী ও বৃদ্ধের ছেলেকে প্রথমে আটক করে। পরে জেরায় সে জানায়, সেই দুজনকে আঘাত করে খুন করেছে। অভিযুক্ত লি হান থো (Li Wan Tho)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কলকাতার Chinatown-এ চিনা মহিলা সহ দু'জনের খুনে গ্রেফতার মৃত মহিলার স্বামী

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহিলার স্বামী ধৃত লি হান থো। এ নিয়ে রোজই অশান্তি হতো বাড়িতে। শুক্রবার রাতেও তা নিয়েই অশান্তি হয় স্বামী স্ত্রীর। সেই সময়ই স্ত্রীর মাথায় লোহার বালতি দিয়ে আঘাত করেন লি হান থো। বাবা আটকাতে এলে তাঁকেও আক্রমণ করে ছেলে। এরপর রক্তাক্ত স্ত্রী ও বাবাকে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় লি হান। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) জানান, এই অবস্থা জানতে পেরে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেখে মহিলা ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে।

এই ঘটনার ঘন্টাখানেক পর ফের বাড়িতে ফিরে আসেন লি হান থো। দরজা বাইরে থেকে ধাক্কা মেরে না খোলায় পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। বাড়ির ভিতর স্ত্রী ও বাবার রক্তাক্ত দেহ  দেখে আবাক হওয়ার ভান করেন। এরপরেই চিৎকার করে ডাকেন প্রতিবেশীদের। খবর  দেওয়া হয় পুলিশেও।

তদন্তে নেমে পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহের তির ছিল মহিলার স্বামী ও বৃদ্ধার ছেলের দিকে। তাকে আটক করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় রাস্তার সিসিটিভি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যা ৭টা ১১ নাগাদ ঘর্মাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। তার জামায় রক্তের দাগ দেখা যায়। যা নিয়ে তার সাফাই ছিল স্ত্রী ও বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়েই ওই দাগ লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে,  জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে অভিযুক্ত।

চিনা দম্পতির তিন সন্তানই কানাডায় থাকে। তাদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

.