Galwan Valley: লাদাখের বিতর্কিত স্থান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন, এমনটাই খবর (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- চিনের উপর ভরসা করা কতটা ঠিক হবে?
- সত্যি কি বিতর্কিত জায়গা থেকে স্বেচ্ছায় পিছু হটেছে চিন?
- ভারতের চাপে নাকি গালওয়ান নদীতে বন্যা, পিছু হটার কোনটা কারণ?
নয়া দিল্লি: সোমবার, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে দুই দেশের সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাদাখে ভারত-চিন (India-China Stand-off) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানো নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তার কিছু সময় পরেই সূত্র মারফৎ খবর মেলে যে, লাদাখের বিতর্কিত গালওয়ান (Galwan Valley) এলাকা থেকে পিছু হটেছে ভারত (India) ও চিনের (China) সেনাবাহিনী। এমনকী একথাও বলা হয় যে, ওই এলাকা থেকে চিন তাদের অস্থায়ী সেনাছাউনি ও কিছু অস্থায়ী কাঠামোও সরিয়ে নিয়ে গেছে। তবে যে প্রশ্নটি সকলের মনেই হয়তো ঘুরছে তা হল, চিনের এই আচরণের উপর ভরসা করা কতটা ঠিক? এমন প্রশ্নও উঠছে যে, ভারতের চাপেই কি চিনা সেনা পিছু হটেছে? নাকি এই ভরা বর্ষার মরসুমে গালওয়ান নদীর প্রতিকূল পরিস্থিতিই তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে?
গালওয়ানে ভারত-চিন সমঝোতা? কিছুটা পিছু হটলো দুই দেশের সেনা
আসলে গালওয়ান নিয়ে এখন আর তেমন বিতর্ক নেই। সব বিতর্ক এখন প্যাংগং হ্রদ ঘিরেই। ভারতীয় সেনা কি পারবে ঠিক আগের মতোই ফিঙ্গার ৮ এ টহল দিতে? বর্তমানে কিন্তু চিনের সামরিক বাহিনী এদেশের সেনাকে ফিঙ্গার ৪ এর বাইরে যেতে দেয় না। ভারতীয় সেনাকে ওই এলাকায় টহল দেওয়া থেকে আটকাতে ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ এর মধ্যে পঞ্চাশটি বাংকারও তৈরি করেছে চিন।
সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে অজিত দোভাল-ওয়াং ই'র টেলিফোনে কথা: সূত্র
তাহলে চিনকে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়?
সুতরাং, প্রশ্ন উঠেছে যে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবেই বা চিনকে বিশ্বাস করা যায়? সত্যিই কী লালফৌজ লাদাখের গালওয়ান, হট স্প্রিং এবং গোগড়া থেকে পিছু হটছে? লাখ কথার এক কথা হল, ১৯৬২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত চিনের আচরণের যা ইতিহাস রয়েছে তার হিসেবে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন। চিন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের আধিপত্য দাখিল করতে।
এমন পরিস্থিতিতে চিন কি প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ এর পিছনে সরে আগের অবস্থানে চলে গেছে? অনেকেই কিন্তু বলছেন, গালওয়ান নদীর কাছে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে পিছু হটার কারণ আসলে ওই নদীতে ক্রমাগত জলস্তর বৃদ্ধি হওয়া। কারণ চিনের সেনাবাহিনী সেখান থেকে পিছিয়ে না গেলে তারা বন্যার কবলে পড়বে। তাই চিন ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পিছু হটেছে একথা বিশ্বাস করা কঠিন হচ্ছে অনেকের কাছেই।
Video: অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কি পিছু হটলো চিন?