মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেন, স্বৈরাচারী সরকারগুলিই এই ধরনের পদক্ষেপ করে।
ওয়াশিংটন: ভারত-চিন (India-China) প্রকৃত সীমান্তরেখার (LAC) কাছে অগ্রসর হতে দেখা গিয়েছে চিনা সেনাকে।। একথা জানিয়ে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) সোমবার বলেন, স্বৈরাচারী সরকারগুলিই এই ধরনের পদক্ষেপ করে। লাদাখ ও উত্তর সিকিমে প্রকৃত সীমান্তরেখায় সম্প্রতি ভারত ও চিন দুই দেশের তরফেই ব্যাপক পরিমাণে সেনা জমায়েত লক্ষ করা গিয়েছে। এর ফলে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে ‘হোয়াট দ্য হেল ইজ গোয়িং অন' পডকাস্টে পম্পেও বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি এমনকী আজও চিন ভারতের উত্তরে অবস্থিত প্রকৃত সীমান্তরেখায় অগ্রসর হচ্ছে।'' এদিন তাঁর বক্তব্যে ভারত-চিন উত্তেজনার মধ্যেও উঠে আসছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথাও। চিনের উহান শহর থেকেই এই ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেপ্রসঙ্গে মাইক পম্পেও বলেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি করোনা অতিমারী সংক্রান্ত তথ্য লুকোচ্ছে।
হোয়াইট হাউজকে ঘিরে বিক্ষোভ চলার সময় মাটির তলায় লুকোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, হংকংয়ের মানুষদের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতেও অগ্রসর হয়েছে চিন।
একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের সীমান্ত কিংবা হংকং বা দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকে চিনের সাম্প্রতিক ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এবং চিনের আচরণে কেবল চিনে বসবাসকারী চিনা ও হংকংয়ে বসবাসকারী হংকংয়ের অধিবাসীরাই নন সারা বিশ্বের মানুষের জীবনেই প্রভাব পড়ছে।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করল চিন
তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার দায়িত্ব এবং ক্ষমতা রয়েছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এবং এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, মার্কিন নাগরিকরা যথাযথ বিদেশ নীতির পরিষেবা পাচ্ছেন। এটি আজকের দিনে চিনের হুমকিকে চিহ্নিত করে ফেলেছে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা কেবল ছ'মাসের ব্যাপার নয়। গত কয়েক বছর ধরে চিন যেভাবে সেনা অভ্যুত্থান বাড়াচ্ছে তা আমরা লক্ষ করেছি। ক্রমাগত আক্রমণাকত্মক চেহারা নিচ্ছে সেটা। আমি ভারতের কথা বলছি। আপনারা দক্ষিণ চিন সাগরের কথা বলছেন।''
এরপর তিনি বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ করেছি ১.৫ বিলিয়ন মানুষের চিনা বাজার আমেরিকার অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ঝুঁখি রয়েছে যে অন্য কোনও দেশকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চিন আমাদের সরিয়ে দিয়ে।'