চিনা দূতাবাস থেকে রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনকে অর্থ অনুদান করা হয়েছে: বিজেপি
নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের আত্মসমর্পণ অস্ত্রের পাল্টা বিজেপির রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন । বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবির (BJP) অভিযোগ করেছে, "ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস থেকে অর্থ অনুদান পেয়েছে কংগ্রেস পরিচিলিত রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন। প্রথম ইউপিএ আমলে অর্থাৎ ২০০৫-০৬ সালে এই লেনদেন হয়েছে।" জানা গিয়েছে, এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইউপিএ চেয়ারপার্সন (UPA) সনিয়া গান্ধি। অন্য সদস্যরা হলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধি আর পি চিদম্বরম। সম্প্রতি সীমান্তে (LAC standoff) চিনা আগ্রাসন নিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। সরকার, চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এমন অভিযোগও তোলা হয়েছে। সেই অভিযোগের পাল্টা এদিন বিজেপির তরফে দেওয়া হল। এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুক্তি তুলে বিজেপির দাবি, "সাধারণ দাতা হিসেবে চিনা দূতাবাস ২০০৫-০৬ সালে এই অনুদান দিয়েছে।"
আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের প্রশ্ন, "ইউপিএ সরকার কি চিন থেকে ঘুষ নিয়েছিল? এই অনুদান নেওয়ার পরেই অবাধ বাণিজ্য করতে চিনা সংস্থাকে ভারতীয় বাজার ছেড়েছিল ইউপিএ সরকার। এটা কি সত্যি?"
এমনকী, সরকারি কোনও নথিতে এই অনুদানের প্রসঙ্গ নেই। এমনটাও অভিযোগ তুলেছেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কংগ্রেসের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, "কোন খাতে সেই অনুদান ব্যবহার করা হয়েছিল? জবাবদিহি করুক কংগ্রেস।"
১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। সেই জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার টুইট করলেন অমিত শাহ। ইন্দিরা যখন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন সেই সময় সারা দেশ জুড়ে তার বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেই সময় যাঁরা দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলটির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন তাঁদের সম্মান জানাতেই টুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে ওই জরুরি অবস্থা জারি রেখে আসলে দেশের মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছিল, এমন অভিযোগও বিভিন্ন সময় উঠেছে। সেই সময়ের কথা মনে করে নাম না করে গান্ধি পরিবারকেই বিদ্ধ করেন অমিত শাহ। তিনি দেশকে রাতারাতি "কারাগারে" পরিণত করার জন্যে "একটি পরিবার" এর তীব্র সমালোচনা করেন।