গত ৫ আগস্ট থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মোকাবিলায় ভারতের বহু অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের (Internet Shutdow) প্রশংসা করল চিন (China)। সেখানকার ‘পিপলস ডেইলি'-র অনলাইন সংস্করণে্ মঙ্গলবার প্রশংসিত হয় ভারতের এই পদক্ষেপ। সেখানে লেখা হয়, ‘‘ভারত সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে। অর্থাৎ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা সার্বভৌম দেশগুলির সাধারণ অভ্যাস হওয়া উচিত।'' ওই প্রবন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কথাও বলা হয়। জানানো হয়, সেদেশে নজরদারি, পর্যবেক্ষণ ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘‘দেশে আগুন লাগানো আপনার কাজ নয়'': অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
গত বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গিয়েছে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
গত মার্চে সেখানকার মুসলিম সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে চিনকে একহাত নেয় আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে চিন ভারতের থেকে প্রেরণা নিয়ে নিজেদের দেশেও এই পদক্ষেপ করতে পারে প্রয়োজনমতো।
‘‘ছোট ঘটনা''-র কারণে কেন বন্ধ রেল, জনসভায় প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
পিপলস ডেইলি'-র প্রবন্ধে ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুলে লেখা হয়, জাতীয় স্বার্থে বা যথন জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে তখন এই ধরনের পদক্ষেপ যথাযথ।
ন'বছর আগে চিনের জিনজিয়ান অঞ্চলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সেখানেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে ওই প্রবন্ধে জানানো হয়েছে। সেই সময় চিনের ওই প্রদেশে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। মারা যান ১৪০ জন মানুষ।
ওই অঞ্চলে ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, ভারত এমন পদক্ষেপ করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরেও। গত আগস্টে সেখানকার ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়ার পর থেকে সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। ১৩০ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ।
চিনের ইন্টারনেট স্বাধীনতা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। সেখানে ইন্টারনেটে জনতার প্রতিটি পদক্ষেপে নজরদারি চালানো হয়। বহু ওয়েবসাইট সেখানে নিষিদ্ধ করা রয়েছে।