বাড়ির মধ্য়েই চিনা মহিলাকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ওই মহিলারই স্বামীকে। Kolkata-র Chinatown নামে পরিচিত ট্যাংরায় শুক্রবার রাতে নিজেদের বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হতে হয় ৬০ বছর বয়সি চিনা বংশোদ্ভূত এক মহিলা এবং তাঁর শ্বশুরকে। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বাড়ির মধ্যেই পাওয়া একটি লোহার বালতি দিয়েই সম্ভবত লি-হাউ-মেইহা এবং তাঁর শ্বশুর লি-কা-সাংয়ের মাথা থেঁতলে তাঁদের হত্যা করা হয় বলে অনুমান। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে পুলিশ একটি জরুরি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও মহিলাকে তখনই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর শ্বশুরের চিকিৎসা শুরু হলেও পরে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা স্থানীয় Tangra police station-এর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
Kochuya Stampede: কচুয়ার লোকনাথ ধামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩, জখম ২০ জনেরও বেশি মানুষ
পুলিশ জানিয়েছে যে ট্যাংরার ওই বাড়ির দরজা ১০ ফুট উঁচু লাল লোহার গেটের ভিতরে ছিল। আর ওই দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল। পাশাপাশি ঘরের ভিতরে সমস্ত জিনিসও অক্ষত ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মৃত মহিলার স্বামী লি ওয়ান সাং সন্ধে ৭টা ১১ মিনিটে বাড়ি থেকে বের হন;পরে রাত ৮.২০ মিনিটে তিনি ফিরে আসেন। পুলিশ জানায়, "তিনি তাঁর বয়ানে বলেন যে তিনি এসে দেখেন, বাড়িটির গেট ভেতর থেকে বন্ধ করা রয়েছে" । লি ওয়ান সাং প্রথমে জানান বাড়ির উঁচু পাঁচিলের ওপরে উঠে তাঁর স্ত্রী এবং নিজের বাবাকে উঠোনে রক্তের স্রোতের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন তিনি। যদিও পরে রাতভর তদন্তের পর পুলিশের কাছে নিজের স্ত্রী ও বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেন লি ওয়ান সাং। তিনি জানান, বিবাহিত জীবনে অশান্তির কারণেই তিনি ওই খুন করেছেন।
প্রায় একই সাথে শহর থেকে উদ্ধার হল ৪ প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার মৃত দেহ, শহর জুড়ে আতঙ্কের ছায়া
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শ্বশুর লি-কা-সাং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ও শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। আর মৃত মহিলা তাঁর পুত্রবধূ লি-হাউ-মেইহা ছিলেন একজন গৃহিণী। তবে পুলিশের জেরায় ওই দুজনকে খুনের কথা মৃত মহিলার স্বামী লি ওয়ান সাং স্বীকার করায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।