India-China: চিনের আগ্রাসী মনোভাব চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের
হাইলাইটস
- ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে
- ভারতীয় সীমান্ত অধিগ্রহণের চেষ্টায় ড্রাগনের দেশ
- "যোগ্য জবাব দিতে জানে ভারত", বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়া দিল্লি: বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে ফের একবার দুই দেশের (India China) মধ্যে উত্তেজনার ধিকিধিকি আগুনকে উসকে দিল চিন (China)। প্যাংগংয়ের (Pangong) বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের অধিগ্রহণে বলে দাবি করে চিহ্নিতও করল জিনপিংয়ের দেশ। দখলে মরিয়া হয়ে চিন এখন চাইছে যেকোনও ভাবেই হোক ভারতীয় জমি অধিগ্রহণ করতে। টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই। ১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের সীমানা যেখানে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্যকে কাঁটাতারের সাথে জড়িত লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।
ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪২৩ মিটার লাল ফৌজের দখলে: উপগ্রহ চিত্র
উপগ্রহ চিত্র থেকে এনডিটিভি যে ছবিগুলি পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে এই অঞ্চলে চিনের সেনাবাহিনী অনেক বেশি সংখ্যায় মোতায়েন রয়েছে। তাঁরাই ভারতীয় সেনাদের টহল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
India-China: প্যাংগং লেকের এলাকা
যে এলাকাটি চিন ইতিমধ্যেই দখল করার চেষ্টা করছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে সেখানে কমপক্ষে ১৮৬ টি সেনা ছাউনি, আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিভিন্ন আকারের তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
বিকেল ৪টেয় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
'ফিঙ্গার ৪' and 'ফিঙ্গার ৬' এ বহু ছোট ছোট আস্তানা গড়েছে চিনারা
রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত-চিন উত্তেজনার বিষয়ে বলেন, "লাদাখে ভারতের দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে তারা যোগ্য জবাব পেয়েছে। ভারত যদি বন্ধুত্ব করতে জানে, তবে কীভাবে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানো উচিত সেটাও জানে।"
'ফিঙ্গার ৫' এবং 'ফিঙ্গার ৪' এ বেশ কিছু নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চিনারা
রবিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "কারওকে ভারত মাতার সম্মান খর্ব করার অনুমতি যে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সাহসী জওয়ানরা। এমনকী যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের পরিবার বীর সন্তানদের আত্মত্যাগের জন্যে গর্ব অনুভব করছেন। এটাই দেশের শক্তি।"
১৫ জুন, ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনার এবং আহত হন ৭০ জনেরও বেশি সেনা। তারপর থেকেই দু'দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা যেন আরও বাড়ছে।