Read in English
This Article is From Jul 31, 2020

ভারত ও ভুটানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে চিন গোটা বিশ্বকে যাচাই করছে, বলল আমেরিকা

চিন সম্প্রতি গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি কাউন্সিলে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকেও নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং এই প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ের বিরোধিতা করেছে

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

India-China Relationship: ৫ মে থেকে লাদাখ সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় (ফাইল চিত্র)

Highlights

  • ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঝামেলা করছে চিন
  • এমন অভিযোগ করলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও
  • চিন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতিক্রিয়ার দিকেও নজর রাখছে, বলেন তিনি

বৃহস্পতিবার ফের একবার চিনের (China) আচরণের তীব্র নিন্দা করলো আমেরিকা। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও লাল ফৌজের দেশের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে, ভারত এবং ভুটানের এলাকার মধ্যে সেনা ঢুকিয়ে আসলে চিন দেখতে চাইছে যে বিশ্বের অন্য দেশগুলো তাদের এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করে কিনা। তিনি আরও বলেন যে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) আসলে সুকৌশলে দেখতে চাইছেন যে, বিশ্বের কোন কোন দেশ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের সঙ্গে রীতিমতো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে চিন। ৫ মে থেকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সীমান্ত এলাকাগুলোতে তীব্র অচলাবস্থা তৈরি হয়। এমনকী জুনে, গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে একটি তীব্র সংঘর্ষ হয় যা রক্তারক্তি পর্যায়ে গড়ায়। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান।

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পুরোপুরি সেনা সরায়নি চিন, অভিযোগ ভারতের

শুধু ভারতই নয় একই সময়ে, চিন ভুটানের (Bhutan) প্রতিও আগ্রাসী মনোভাব পোষণ করছে। সম্প্রতি তারা গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি কাউন্সিলে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকেও (Sakteng Wildlife Sanctuary) নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং এই প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ের বিরোধিতা করেছে।

Advertisement

যারা বলছে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেনি, তাঁরা কখনই দেশপ্রেমী নয়: রাহুল গান্ধি

এই উদাহরণগুলো তুলে ধরে মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার বলেন যে, "আমি মনে করি, কয়েক দশক ধরে চিন আসলে এই ধরণের আচরণ করে গোটা বিশ্বকেই একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শি জিনপিং ক্ষমতায় বসার পর চিনের এই লম্ফঝম্প আরও বেড়ে গেছে। ওই সব কিছুই তাঁর ইশারাতেই হচ্ছে।" মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর মতে, আসলে চিন নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় এবং নাগালের বাইরের এলাকাও কুক্ষিগত করতে চায়। 

Advertisement

পম্পেও বলেন, "মুখে মুখে চিন দাবি করে যে তাদের শাসনব্যবস্থা আসলে গণতান্ত্রিক। কিন্তু বাস্তবে তা মানে না তারা। এখন ভুটানের জমিও নিজেদের বলে দাবি করছে তারা। সম্প্রতি ভারতেও চিনা সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আসলে এর পিছনে চিনের আসল উদ্দেশ্য হল, তারা যাচাই করে দেখছে যে তাদের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়াচ্ছে কিনা? পর্যবেক্ষণ করে দেখছে যে, তাদের এই আচরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো কী প্রতিক্রিয়া দেয় এবং তাঁদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় কিনা?"

মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অবশ্য একথাও বলেন যে 'আমি এখন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে বিশ্ব চিনের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের এবিষয়ে আরও অনেক কাজ করার আছে এবং বিষয়টিকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি ভারত যেভাবে চিনের ১০৬ টি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তার তারিফও করেন তিনি ।

Advertisement