This Article is From Feb 04, 2020

Chinmayanand Case: যখন ‘কুমারীত্ব ঝুঁকির মুখে’, নীরব ছিলেন ছাত্রী, উপলব্ধি বিচারপতির

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ানন্দকে, এবং আইনের ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরিতে প্ররোচনা করারও অভিযোগ ওঠে

Chinmayanand Case: যখন ‘কুমারীত্ব ঝুঁকির মুখে’, নীরব ছিলেন ছাত্রী, উপলব্ধি বিচারপতির

আইনের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে (ফাইল)

লখনউ:

জামিন পেয়েছেন একছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ (Chinmayanand), সোমবার জামিন দেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের একটি আদালত বিষয়টিকে “একে অপরকে ব্যবহারের” কথা বলে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এও পর্যবেক্ষণ করে, এটা “আশ্বর্যজনক”, যে, “যে মেয়ের কুমারীত্ব ঝুঁকির মুখে”, তখন তিনি বাড়িতে অথবা আদালতে চিন্ময়ানন্দের দ্বারা যৌন হেনস্থার কথা জানাননি। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, “যে মেয়ের কুমারীত্ব ঝুঁকির মুখে, তখনও বাড়িতে অভিভাবকের কাছে অথবা আদালতে এই অভিযোগ সম্পর্কে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি  এটা আশ্বর্যজনক ব্যবহার, ফলে এটা চাতুর্যের কথা বলে”। বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী বলেন, “আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, এটা পুরোপুরিই একে অপরের থেকে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা”...তবে একটা সময়ের পর, আরও কিছু পাওয়ার লোভে, পরে তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে নিজের রেকর্ড করা ভিডিও-এর মাধ্যমে”।

বিচারপতি বলেন, “দুপক্ষই নিজেদের সীমারেখা অতিক্রম করে, এবং এই পর্যায়ে যে কাকে ব্যবহার করেছেন সেটা বিচার করা খুবই কঠিন? তাঁরা দুজনেই একে অপরকে ব্যবহার করেছেন”।

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের জামিন

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ানন্দকে, এবং ২৩ বছরের আইনের ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরিতে প্ররোচনা করারও অভিযোগ ওঠে। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে তাঁকে ব্ল্যাকমেল এবং ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন আইনের ছাত্রী।

পরে ওই ছাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুরো ঘটনায় ওই ছাত্রীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।

ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ আর দলের সদস্য নন, জানাল বিজেপি

আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, “যা আশ্চর্যজনক, বিরক্তিকর এবং উদ্বেগের বিষয় তা হল, চিন্ময়ানন্দের সংস্পর্শে আসেন তরুণী, তাঁর সমর্থন এবং বদান্যতা ভোগ করেন তাঁর পরিবারের  মতোই., তাঁর পরিবর্তে তাঁকে শারিরীকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন, পুরো সময়ে প্রায় ১০ মাস সময় পর্যন্ত তিনি নীরব ছিলেন। এমনকী, তাঁর পরিবার বা কাউকেই তিনি কিছু জানাননি”।

আদালত আরও মন্তব্য করে, “অন্যদিকে, সেই দুঃসময়ে, তিনি নিজে স্পাই ক্যামেরা যুক্ত চশমা কেনেন, তারমাধ্যমে তিনি নগ্ন ছবির ভিডিও শ্যুট করেন এবং অভিযুক্তের ভিডিও তৈরি করেন, যারমাধ্যমে তিনি চিন্ময়ানন্দের থেকে অর্থ চেয়ে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন, তাঁর সঙ্গে তিনি একান্ত সময় কাটিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছেন কলেজে এবং তাঁর থেকে অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন”।

.