Read in English
This Article is From Sep 11, 2019

ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেন ড্রাইভে, দাবি তরুণীর

অভিযুক্ত বিজেপি (BJP) নেতার বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক ভিডিও প্রমাণ' একটি পেন ড্রাইভে তুলে পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by , Translated By

Highlights

  • ২৩ বছরের তরুণীর অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন
  • তরুণীর দাবি, ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন চিন্ময়ানন্দ
  • মঙ্গলবার সিট ওই তরুণীর হোস্টেলে যায় প্রমাণ সংগ্রহের জন্য
নয়াদিল্লি:

বিজেপি (BJP) নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের (Chinmayanand) বিরুদ্ধে টানা ধর্ষণ, তা ক্যামেরাবন্দি করা এবং ব্ল্যাকমেল করার ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক আইনের ছাত্রী। তাঁর অভিযোগের সত্যতার প্রমাণস্বরূপ ‘বিস্ফোরক ভিডিও প্রমাণ' একটি পেন ড্রাইভে তুলে পুলিশের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তাঁর বন্ধু। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল বা সিটের হাতে ওই পেন ড্রাইভ তুলে দিয়েছেন নির্যাতিতার বন্ধু। সিট তদন্তে নেমে ওই তরুণীকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে আগেই জানা গিয়েছিল। চশমায় লাগানো একটি ক্যামেরার সাহায্যে ওই তরুণী ঘটনার ভিডিও তিনি তুলে রেখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

২৩ বছরের ওই তরুণী অভিযোগ জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন অভিযুক্ত। তরুণীর দাবি, ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন চিন্ময়ানন্দ।

দিনের পর দিন ধর্ষণ, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি! ভয়াবহ অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

Advertisement

সূত্রানুসারে, ১২ পাতার অভিযোগপত্রে ওই তরুণী জানান, ৭৩ বছরের চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ গত বছরের জুন মাসে। সেই সময় তিনি শাহজাহানপুরের সেই কল‌েজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন, যে কলেজ পরিচালনা করেন চিন্ময়ানন্দ। তিনি জানান, চিন্ময়ানন্দ তাঁর ফোন নম্বর নেন ও তাঁর ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। পরে তাঁকে ফোন করে কলেজের লাইব্রেরিতে ৫,০০০ টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেন। তরুণী জানান, তিনি সেই চাকরিটি করতে শুরু করেন কারণ তাঁর পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র।

এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন বিজেপির চিন্ময়ানন্দ, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের তরুণীর

Advertisement

অক্টোবরে ওই তরুণীকে হোস্টেলে চলে আসার জন্য বলেন চিন্ময়ানন্দ। পরে তাঁকে আশ্রমে আসার আহ্বান জানান। এরপরই হোস্টেলের বাথরুমে তরুণীর স্নানের ভিডিও তাঁকে দেখিয়ে চিন্ময়ানন্দ হুমকি দেন সেটি ভাইরাল করে দেওয়ার। এইভাবে ভয় দেখিয়ে তিনি জোর করা শুরু করেন ওই তরুণীর উপরে। ধর্ষণের ভিডিও-ও তুলে রাখা হয়। পরে সেটি দেখিয়েও তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেন চিন্ময়ানন্দ।

ওই তরুণী সিদ্ধান্ত নেন তিনিও ভিডিও তুলে রাখবেন চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে। এরপর চশমায় ক্যামেরা লাগিয়ে তিনি ভিডিও তুলে রাখেন।

Advertisement

আগস্ট মাসে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি কলেজ থেকে পালিয়ে যান। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ফেসবুকে ওই পোস্ট দেখেন। তাঁর মেয়ে ও আরও অনেক মেয়েকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন তিনি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথমে নিখোঁজ তরুণীর রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেনি। তিন দিন পরে নিখোঁজ ডায়রি লেখার পাশাপাশি অপহরণের অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।

এক সপ্তাহ পরে ওই তরুণীকে রাজস্থানে পাওয়া যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মেয়েটিকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন রুদ্ধদ্বার শুনানিতে তরুণীর সব অভিযোগ শোনে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

গত সপ্তাহে ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করলেও চিন্ময়ানন্দকে এখনও জেরা করা হয়নি বা তাঁর বিরুদ্ধে চার্জও আনা হয়নি।

মঙ্গলবার সিট ওই তরুণীর হোস্টেলে যায় প্রমাণ সংগ্রহের জন্য।

Advertisement