নয়া দিল্লি:
বাংলায় যেটি ভূত চতুর্দশী সেই উৎসবই গোটা দেশে পালিত হয় ছোটি দিওয়ালি (Choti Diwali) বা ছোটি দীপাবলি নামে। দীপাবলির আগের দিন এই উৎসব পালিত হয় ঘরে ঘরে। দীপাবলির পাঁচদিনের দ্বিতীয় দিন আরও অনেক নামে পরিচিত সবার কাছে, নাকারা চতুর্দশী, কালী চৌদাশ, নরকনির্বাণ (Naraka Nivaran Chaturdashi) চতুর্দশী। পুরাণ বলছে, এই দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে আকাশ প্রদীপ জ্বালানো হয়। অশুভ আত্মাকে ঘরের থেকে দূরে রাখতে বাড়িতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। এই দিনে নরকাসুরকে (Narakasura) বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই বিজয়োল্লাসেই মথুরানগরের প্রতি ঘরে জ্বালানো হয়েছিল ঘিয়ের প্রদীপ। এবছর এই বিশেষ দিন পালিত হবে শনিবার, আগামীকাল।
জেনে নিন ছোটি দিওয়ালি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য:
- এই দিন তেতো ফল কারিত পায়ের নীচে থেঁতো করে সবাই। এটি নরকাসুর বধের প্রতীক। ফলটি থেঁতো করে যেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটানো হয়।
- কথিত আছে, নপরকাসুর বধের পর শ্রীকৃষ্ণ তেল মেখে স্নান করেছিলেন। এই রীতি মেনে তাই এদিন ভোরে সবাই সারা শরীরে তেল মেখে স্নান সারেন।
- স্নানের আগে গোলাপের পাপড়ি, তিল তেল সারা শরীরে মেখে তারপর গঙ্গাজলে স্নান সারেন ভক্তরা। তাই এই দিনের আরেক নাম রূপ চতুর্দশী।
- ছোটি দিওয়ালির দিন সন্ধেয় গোটা বাড়িতে প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে লক্ষ্মীর আবাহন জানানো হয়।
- স্নান সারার শুভ মুহূর্ত ৫.২৬ মিনিট থেকে ৬.৩৮ মিনিট পর্যন্ত।
COMMENTS
Advertisement