খ্রিস্ট ধর্মের যাজকদের দেখা গিয়েছে যাজকদের পোশাক পরে সিএএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে।
কলকাতা: খ্রিস্টানরা এর আগেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সোমবারই কলকাতায় (Kolkata) প্রথম খ্রিস্ট ধর্মের যাজকদের দেখা গিয়েছে যাজকদের পোশাক পরে সিএএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে (Christian Priests Protest Citizenship Act)। তাঁদের দাবি, যেভাবে মুসলিমদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী সময়ে সেভাবে খ্রিস্টানদেরও বাদ দেওয়া হতে পারে। ক্যানিংয়ের নৃত্যরত যাজকরাই ছিলেন এদিনের মিছিলের সেরা আকর্ষণ। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে। রেভারেন্ড শ্যামল প্রামানিক এদিন নৃত্যরত অবস্থায় বলেন, ‘‘আমরা যিশুর সন্তান। আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি তাঁর কথা বলব বলে।''
২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এখানে এসেছি এনআরসি ও সিএএ-র বিরোধিতা করতে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আমরা হিন্দু ও মুসলিমদের সঙ্গে সেই ঘরেই মরতে চাই যেখানে জন্মেছি।''
মিছিলে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন, মহিলা যাজক রেভারেন্ড মার্গারেট নীলাঞ্জনা আলি। তাঁর নামের মধ্যে থাকা খ্রিস্টান, হিন্দু ও মুসলিম শব্দের সমাহার নিয়ে তিনি জানান, তিনি নিজেকে মনে করেন ‘ধর্মনিরপেক্ষতার প্যাকেজ'।
দেশের ইতিহাস নিয়ে সইফের বক্তব্যের নিন্দায় তৈমুর প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপি নেত্রী
তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি একজন খ্রিস্টান, একজন মহিলা। এবং আমিও প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিতে চাই, দয়া করে এই সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করুন। এটা আমাদের দেশকে বিভক্ত করছে। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমরা এভাবেই এখানে থাকতে চাই।''
মিছিলে কেবল খ্রিস্টানরাই ছিলেন না। অন্য ধর্মবিশ্বাসী মানুষরাও যোগ দিয়েছিলেন এই মিছিলে। মিছিলেন উদ্যোক্তা বিশপ পরিতোষ ক্যানিং বলেন, এটি একটি প্রতিবাদ মিছিলের থেকেও বেশি প্রার্থনা মিছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি শাসক কর্তৃপক্ষের হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটাতে, যাতে তাঁরা সিএএ-এনআরসি নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারেন।''
রেভারেন্ড রডনি বোর্নিও বলেন, ‘‘যখন মানুষ নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে, তখন প্রত্যেক খ্রিস্টানের দায়িত্ব, যিশুর প্রত্যেক ভক্তের দায়িত্ব, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং বলা যে, তোমরা একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।''