NRC নিয়ে মতবিরোধ বা আতঙ্ক এখনও কমেনি মোটেও। এরই মধ্যে নানা প্রশ্ন তুলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন সমাপ্তির দিকেই এগোচ্ছে এবং এখন সরকারের সম্পূর্ণ লক্ষ্যই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাস করানো। সূত্রের খবর, সরকার আগামী সপ্তাহেই এই বিল পেশ করতে চলেছে। যদিও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি এই বিলের লাগাতার বিরোধিতা করে চলেছে। সরকার অবশ্য জানাচ্ছে পাকিস্তান, বংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে অবৈধভাবে থাকা নাগরিকদেরও নাগরিকত্ব দিতে পারে। তবে শর্ত একটাই! মুসলিম হওয়া যাবে না। বিরোধী কংগ্রেস এই বিলটিকে অসংবিধানিক বলেই মনে করছে। বিরোধীদের মতে এই বিল ভারতের একেবারে শিকড়ে থাকা সংস্কৃতির বিরোধী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল
বস্তুত, এই নাগরিক সংশোধনী বিল পাস হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু বা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষজন নাগরিকত্ব পাবেন। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের বৈধতা দেওয়া হবে। তবে বাদ পড়বেন মুসলিম সম্প্রদায়।
এই বিল প্রসঙ্গে বিরোধী দল তৃণমূল অবশ্য মনে করছে, মুসলিম ছাড়া যে সমস্ত অসমের বাসিন্দারা নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন তাদের পুনরায় নাগরিক তালিকাতে ঠাঁই দেওয়ার জন্যই সরকারের এই বিল পাসের এত হুড়োহুড়ি। তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের বক্তব্য, “আমরা নাগরিকতা (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে। এটি সংবিধান বিরোধী বিল। এনআরসি নিয়ে যে পরিমাণে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই সরকার এই বিল আনার প্রস্তুতি করছে।” অন্যদিকে মিজোরামের রাজ্যসভা সাংসদ রোনাল্ড লাসও জানাচ্ছেন যে ভারতবর্ষে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনৈতিক।