Citizenship Act CAA case: ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট
হাইলাইটস
- এখনই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ জারিতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট
- কেন্দ্রের জবাব শুনেই তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত
- মামলাটি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল শীর্ষ আদালত
নয়া দিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) উপর স্থগিতাদেশ জারির রাস্তায় হাঁটল না সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জমা হওয়া ১৪০টিরও বেশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠাল তাঁরা (Supreme Court)। এর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন। বুধবার সেই সব আবেদনের শুনানি হয় ৩ বিচারপতির বেঞ্চে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Amendment Act) স্থগিতাদেশ জারি হবে কিনা সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এ বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া তা না জেনে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি নন তাঁরা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশ জোড়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৩ টি আবেদন জমা পড়ে।
কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করতে উপস্থিত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বেঞ্চকে বলেন যে, ১৪৩ টি আবেদনের মধ্যে সরকারের কাছে মাত্র ৬০ টি আবেদনের অনুলিপি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন যে এই অনুলিপিগুলো না পৌঁছনোয় এখনই এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয় কেন্দ্রের পক্ষে। এই সব আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আরও কিছুদিন সময় চান তিনি। এরপরেই কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্যে আরও ৪ সপ্তাহ সময় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
CAA: সিএএ বিরোধী আবেদনগুলি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে বুধবারই প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বিরোধীদের হয়ে সওয়াল করতে উঠে আদালতের বেঞ্চকে সিএএ-র বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন করেন। পাশাপাশি যতদিন না পর্যন্ত এই মামলার কোনও সিদ্ধান্ত হয় ততদিন পর্যন্ত জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের (NPR) কাজ স্থগিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
শীর্ষ আদালতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে সিএএ অবৈধ এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। আরও বলা হয়েছে যে এই আইনটি সাম্যের অধিকারেরও পরিপন্থী কারণ এটি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলে। কিছু আবেদনে আবার গত ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া আইনটির প্রয়োগে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের তালিকায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। ওই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অন্যতম হল কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এবং কমল হাসানের মাক্কাল নিধি মায়াম।
CAA: "হোক বিতর্ক", মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধিকে অমিত শাহের চ্যালেঞ্জ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
যদিও এখনই সিএএ-র বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারিতে সম্মত হয়নি সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি বোবদে এবং বিচারপতি বি আর গাভাই ও সূর্যকান্ত।