This Article is From Dec 13, 2019

Citizenship Act: দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদ সংসদের দিকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিল এগোতেই পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়

জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়

নয়াদিল্লি:

দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia) পড়ুয়ারা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Amended Citizenship Act) প্রতিবাদে সংসদভবনের দিকে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ, তাতেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ, এবং এলাকায় বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর পেরোতেই ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। সংসদে যাতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা পৌঁছাতে না পারেন, তারজন্য প্যাটেল চক এবং জনপথ মেট্রো বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, বুধবার রাতে পাস হয় বিতর্কিত বিলটি।

নাগরিকত্ব আইন আটকানোর ক্ষমতা নেই রাজ্যের, জানাল সরকারি সূত্র

একটি ট্যুইটে দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “দিল্লি পুলিশের পরামর্শে প্যাটেল চক এবং জনপথ মেট্রোর প্রবেশ ও প্রস্থানের গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামবে না”।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করে দেওয়া এই আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব, সেই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়াল দেশের রাজধানীতে। বিরোধী দলগুলি এই আইনকে “অসাংবিধানিক” এবং “পক্ষপাতদুষ্ট” বলে মন্তব্য করেছে, উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের দাবি, এটি ১৯৮৫-এর অসম অধিগ্রহণকে লঙ্ঘন করবে এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীতে এলাকা ভরে যাবে।

 তাদের রাজ্যে এই আইনটিকে কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিরোধী শাসিত রাজ্য কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব, যদিও, কেন্দ্র জানিয়েছে  এটি নিয়ে কোনও দরকষাকষি হবে না।

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে মধ্যেই শিলং সফর বাতিল অমিত শাহের

শুক্রবার মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ, একদিন আগে, অসমের গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মোবাইল ফোনে তোলা ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আহতদের শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সংশোধিত আইনটির “সুবিধা” এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিয়ে “অপপ্রচার' বন্ধ করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।

কী বললেন ডেরেক ও ব্রায়েন ,দেখুন ভিডিও: 

বৃহস্পতিবার রাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়।

(এজেন্সির তথ্য সংযোজিত হয়েছে)

.