Read in English
This Article is From Dec 16, 2019

“নাগরিকত্ব বিলকে সুযোগ দিন, মানিয়ে নিন”: পড়ুয়াদের কাছে আবেদন অমিত শাহের

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসা “দুর্ভাগ্যজনক এবং খুবই দুঃখজনক”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের পক্ষে সওয়াল করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের কাছে আইনটি “মানিয়ে নেওয়ার' আবেদন জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও আইন নেই”। পাশাপাপাশি বিক্ষোভকারীদের কাছে অমিত শাহের বার্তা, তাঁদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা, একইসঙ্গে কংগ্রেস, দিল্লির আম আদমি পার্টি, বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে “হিংসার আবহ তৈরির” অভিযোগ তোলেন তিনি। দিল্লিতে আগামী বছর এবং পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার অমিত শাহ বলেন, “আজ, এই মঞ্চ থেকে আমি পড়ুয়াদের কাছে আবেদন জানাব, আপনারা নাগরিকত্ব বিল মেনে নিন। কারও নাগরিত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নেই। কংগ্রেস, আপ এবং তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে এবং দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে”। 

অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন তৈরি করা হয়েছে, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার” জন্য।

শনিবার নিয়ে চতুর্থদিনে পা দেয় অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসা “দুর্ভাগ্যজনক এবং খুবই দুঃখজনক”। বিষয়টিকে “কায়েমি স্বার্থ” চরিতার্থ করার চেষ্টা বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগ, দেশকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস এবং বামেরা। 

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদি ট্যুইট করেন, “নাগরিকত্ব বিল নিয়ে হিংসাত্মক প্রতিবাদ দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। বিতর্ক, আলোচনা এবং মতভেদ গণতন্ত্রের অংশ, তবে কখনই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবেন না এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করবেন না”।

পড়ুয়া এবং অন্যান্যরা নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়েন, এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলকএভং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

Advertisement

ঝামেলার সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যায়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিলকে হয়, তাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ১০০জন পড়ুয়াকে আটক করে। বোর ৩.৩০ নাগাদ সমস্ত পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement