দীর্ঘ ভিডিওতে সকলের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল।
গুয়াহাটি: অসম সরকার ‘‘খাঁটি'' ভারতীয় নাগরিকদের রক্ষা করতে দায়বদ্ধ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল (Assam Chief Minister Sarbananda Sonowal) তাঁর টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওয় একথা জানান। টুইটারে পোস্ট করা ওই দীর্ঘ ভিডিওতে তিনি সকলের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (Citizenship Law) বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত অসম সহ উত্তর-পূর্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সর্বানন্দ সোনোওয়ালের এরই মধ্যে দেখা করার কথা। তাঁর আবেদনে সর্বানন্দ বলেন, নাগরিকত্ব আইনে রাজনৈতিক লাগাতে চাইছে কেউ কেউ। তারাই মানুষকে রাজ্যে হিংসা ছড়াতে ও রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিতে ইন্দন জোগাচ্ছেন।
তিনি অসমিয়া ভাষায় ওই ভিডিওতে আর্জি জানান, ‘‘আমি আহ্বান জানাচ্ছি সমাজের সব শ্রেণির কাছে, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ক্যা সম্পর্কে এবং হিংসায় মদত দিচ্ছে তাদের প্রয়াস ব্যর্থ করুন এবং একসঙ্গে মিলে অসমের উন্নতি অব্যাহত রাখুন।''
মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্য রাখার আগের দিনই বিজেপির জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদ, যারা এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করেছিল তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার এই আইনের বিরোধিতা করবে। দলের তরফে জানানো হয়, শনিবার এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এও জানানো হয়, দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এই বিষয়ে। যদিও কংগ্রেসের মতে, এসব নেহাত ‘ছলনা'।
অসমের কংগ্রেস প্রধান রিপুন বোরা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘‘এটা এজিপির ছলনা। কেননা অসমের মানুষ যেভাবে বিদ্রোহ করেছে তার জেরে এজিপির বহু বড় নেতাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এজিপির নেতৃত্বে বিভাজন দেখা দিয়েছে। উপায় না পেয়ে তাঁরা এটা করছে। এজিপির সঙ্গে বিজেপির আঁতাত রয়ে গিয়েছে।''
অসমের ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, শনিবার ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘পাথর ছোঁড়া, গাড়িতে আগুন লাগানো এবং সম্পতি নষ্ট বা আক্রমণের ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব।''
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি বা সংগঠন হিংসা ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দিতে আবেদন জানান তিনি।
প্রতিবাদের ঢেউ এসে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাস্তা অবরোধ ও রেল পরিষেবা ব্যাহত করার ঘটনার বিরোধিতা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শান্তির জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
(তথ্যসূত্র: এএনআই)