মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে একাধিক সভা করা হবে
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের অধীনে আনা আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের তা আটকানোর ক্ষমতা নেই, শুক্রবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Union Home Ministry) একটি সূত্র। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের (Citizenship Act) বিরোধিতায় তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিরোধীরা। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “সংবিধানের ৭তম তপশিলে উল্লেখ করা কেন্দ্রীয়মন্ত্রকের অধীনে আনা কোনও আইনে না করার ক্ষমতা নেই রাজ্যের”, পাশাপাশি তিনি জানান, নাগরিকত্ব গ্রহণ করা কেন্দ্রের অধীন। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং পঞ্জাবে এর বিরোধিতা শুরু হয়েছে, তারা জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেবে না তারা।
তিন প্রতিবেশী দেশের অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিকে “পক্ষপাতদুষ্ট” এবং “অসাংবিধানিক” বলে মন্তব্য করেছে তারা।
Protest Over Citizenship Act: শিলংয়ে ক্ষিপ্ত জনতা, রুখতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সম্মতি দেওয়ায় বিলটি আইনে পরিণত হয়, তারমধ্যেই উত্তর-পূর্বে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।এর আগে অসমের গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
নাগরিকত্ব বিলের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, “কোনও পরিস্থিতিতে”ই এই বিল তাঁর রাজ্যে কার্যকর হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি ঘোষণা করেছেন একাধিক সভা করা হবে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সংসদে পাস হলেও আমরা নাগরিকত্ব বিল বাংলায় কার্যকর হতে দেব না”, পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে জোর করে “অসাংবিধানিক” আইন চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের দাবি, একটি “অসাংবিধানিক আইন”, যা দেশের একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট, সেই আইনের কোনও স্থান নেই তাঁর রাজ্যে। তিনি বলেন, “সংবিধান সমস্ত ভারতীয়ের নাগরিকত্ব দিয়েছে ধর্ম, জাতি, ভাষা, সংস্কৃতি, লিঙ্গ, পেশার ঊর্দ্ধে। এই আইনের মাধ্যমে এই অধিকারগুলি লঙ্ঘিত হবে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব স্থির করার অর্থ, সংবিধান প্রত্যাখ্যান করা”।
কী বললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, দেখুন ভিডিও:
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেম অমরিন্দর সিং বলেন, রাজ্য বিধানসভায় তাঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে আই কার্যকর করার রাস্তা আটকাবেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই আইনটি খুবই বিভাজনমূলক। ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে ভাগ করার কোনওরকম আইন অবৈধ এবং অনৈতিক”।