This Article is From Dec 24, 2019

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসার ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি স্কুল ছাত্রের

গুয়াহাটি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র যশবীর আলম ইসলাম জানায়, এই প্রথমবার তার শহরকে এইরকম দেখছে সে

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসার ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি স্কুল ছাত্রের

গুয়াহাটি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র যশবীর আলম ইসলাম জানায়, এই প্রথমবার তার শহরকে এইরকম দেখছে সে

গুয়াহাটি:

নয়া নাগরিকত্ব আইন (Amended Citizenship Law)  নিয়ে অসমে বেড়ে চলা হিংসার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মহাসচিবকে চিঠি লিখল পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র। আবেগময় সেই চিঠিতে, হিংসা এবং কারফিউ জারি করা রাজ্যে হস্তক্ষেপ করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে সে। গুয়াহাটি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র যশবীর আলম ইসলাম জানায়, এই প্রথমবার তার শহরকে এইরকম দেখছে সে। সে বলেছে, “আমার হৃদয় দুঃখে ভরে গিয়েছে, যখন আমি আমার শহর অসমকে জ্বলতে দেখেছি”। রাজনৈতিক নিষ্ঠুরতার কথা তুলে ধরেছে ওই স্কুলছাত্র, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার, জল কামান এবং প্রতিবাদ, বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যবহৃত রবার বুলেট প্রয়োগের কথা তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে, আরও জানানো হয়েছে, পুলিশের কার্যকলাপে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘে লেখা চিঠিতে ওই স্কুলছাত্র উল্লেখ করেছে, “স্যার, কেউ আমাদের মানুষের কথা শুনছে না...আমি আমার সুখি জীবন ফিরে পেতে চাই, সপ্তাহান্তে সিনেমা, কেএফসি...আমরা অসহায় বোধ করছি, কারণ, আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই”, সেই চিঠির একটি কপি মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েটার্সকেও মেল করা হয়েছে।

56uscoic

যশবীর আলম ইসলামের মা আফ্রিদা হুসেন বলেন, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠিটি পাঠাতে সাহায্য করেছেন তিনি

NDTV কে যশবীর জানিয়েছে, “আমি সোশ্যাল স্টাডিজের ক্লাসে রাষ্ট্রসংঘ সম্পর্কে জেনেছি, এবং তারা কী করে এবং কীভাবে মানবতার সঙ্কটে কীভাবে রাষ্ট্রসংঘে চিঠি লেখা যায়, তা জেনেছি। সেই দিনে, যখন আমি স্কুল থেকে ফিরছিলাম, আমার সামনেই, হিংসাত্মক আন্দোলন এবং পুলিশের গুলি চালানো দেখেছি। আমি একজন কাকুর সঙ্গে কথা বলি এবং তিনি আমায় রাষ্ট্রসংঘে চিঠি লেখার পরামর্শ দেন”।

স্কুল ছাত্র্রের মা আফ্রিদা হোসেন, একজন সাংবাদিক, তিনি বলেন, ছেলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি, এবং চিঠিটি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে পাঠাতে সাহায্য করেছেন। গুয়াহাটিতে একটি নিউজ পোর্টাল চালান স্কুলছাত্রের মা, তিনি বলেন, “যেহেতু সে ইমেল ব্যবহার করতে পারে না, সেই জন্য আমি আমার আইডি থেকে চিঠিটি মেল করতে সাহায্য করি। তবে পরে, আমি তাকে ইমেল খুলে দিই, এবং তাকে আবার মেল করতে শেখাই...এটা শুধুমাত্র একটা ঘটনা নয়, যে একজন বাচ্চা ভিত হয়ে পড়েছে, এমনকী বড়রাও ভিত হয়ে পড়েছেন”।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে এই প্রথমবার ভারতের নাগরিকত্ব হওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রথমবার মাপকাঠি করা হয়েছে জাতপাতকে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য থেকে সংখ্যালঘুরা ভারতে এলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এই আইনে। সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের প্রতি বিভাজনমূলক, এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক বিষয়কে লঙ্ঘন করে। বিতর্কিত আইনটি নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে,  উত্তর-পূর্বের মানুষদের আশঙ্কা, এই আইন, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ সংখ্যা বাড়াবে এবং সেখানকার জনসংখ্যা তত্ত্ব পাল্টে দেবে, তাঁদের পরিচিতি নষ্ট হবে।

.