কেবল খাবারের প্যাকেট বা কম্বলই নয়, রাতে প্রতিবাদীদের বসার জন্য নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শিটও সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে।
লখনউ: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে (Anti-CAA Protest) লখনউয়ের (Lucknow) বিখ্যাত ঘণ্টাঘরের কাছে প্রতিবাদ চলার সময় প্রতিবাদীদের খাবার ও কম্বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সেখানে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। মোবাইল ফোনে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে শনিবার প্রতিবাদ চলাকালীন সন্ধ্যাবেলা প্রতিবাদীদের খাবারের প্যাকেট ও কম্বল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে, কেবল খাবারের প্যাকেট বা কম্বলই নয়, রাতে প্রতিবাদীদের বসার জন্য নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শিটও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হেলমেট পরিহিত পুলিশ। আপাত ভাবে এ্মন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে লখনউ পুলিশ। রবিবার লখনউ পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, গুজব না ছড়ানোর জন্য। যদিও সেই সঙ্গে তারা পক্ষান্তরে মেনে নিয়েছে কম্বল সরানোর বিষয়টি।
শুক্রবার প্রায় পঞ্চাশ জন মহিলা ঘণ্টাঘরের সিঁড়ির কাছে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবাদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য। এবং আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চলবে। শনিবার ওই প্রতিবাদে আরও মহিলা ও শিশুরা যোগ দেন।
কোনও রাজ্য বলতে পারে না সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না: কপিল সিবাল
শনিবার তোলা এক মোবাইল ফোন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক মহিলা প্রতিবাদী কয়েকজন পুলিশের দিকে ছুটে গিয়ে প্রশ্ন করছেন, কেন তাঁদের কম্বল তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ? মহিলা ও শিশুদের জন্য খাবার ও কম্বর নিয়ে আসা এক শিখ ব্যক্তি বলেন, ‘‘কিছু পুলিশ আমাদের থামাতে চাইছে। কিন্তু বাকিরা সমর্থন করছে। এটা সাধারণ মানবকিতা এবং তাই আমরা এখানে।''
লখনউ পুলিশ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘণ্টাঘরের কাছে ওই প্রতিবাদীরা কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করছিল। অনেকে সেখানে কম্বল বিতরণ করছিল। ফলে বহু মানুষ জমায়েত হয়েছিল যারা প্রতিবাদীদের দলের নয়। তারা কেবল কম্বল নিতে এসেছিল। সেকারমেই ভিড় সরাতে পদক্ষেপ করে পুলিশ। আর তাই কম্বলগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি, সকলকে গুজব ছড়াতে বারণও করা হয় ওই বিবৃতিতে।
দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরালা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।