কবিতাটি শনিবার লন্ডনের এক অনুষ্ঠান মঞ্চে পাঠ করেন পিঙ্ক ফ্লয়েডের গিটারিস্ট রজার ওয়াটার্স।
হাইলাইটস
- সিএএ-কে ফ্যাসিস্ট তকমা দিলেন পিঙ্ক ফ্লয়েডের রজার ওয়াটার্স
- জামিয়ার পড়ুয়ার একটা ১২ লাইনের কবিতা পড়ে শোনান তিনি
- গত ডিসেম্বরে সিএ বিল আইনে পরিণত হয়
নয়া দিল্লি: এবার লন্ডনের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ভেসে এল সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) কণ্ঠস্বর। বিশ্বখ্যাত রকব্যান্ড পিঙ্ক ফ্লয়েডের (Pink Floyd) গিটারিস্ট রজার ওয়াটার্স (Rogers Waters) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সুর চড়ালেন। সেই আইনকে ফ্যাসিস্ট তকমা দিলেন রজার্স। জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের মুক্তির দাবিতে শনিবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সিএএ-র বিরোধিতা করার পাশাপাশি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Milia University) পড়ুয়া আমির আজিজের লেখা একটা কবিতা পাঠ করেন তিনি। সেই কবিতা পাঠের আগে আমির আজিজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পিঙ্ক ফ্লয়েড গিটারিস্ট বলেন, "এই ছেলেটার নাম আমির আজিজ। যাকে আমরা কেউ চিনি না। উনি একজন তরুণ কবি এবং সমাজকর্মী। মোদি এবং তাঁর ফ্যাসিস্ট ও বিদ্বেষমূলক নাগরিকত্ত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব আমির।"
খুন, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ দায়ের আপ নেতা তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে
আমির আজিজের এমন পরিচয় পেয়ে হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা দর্শকাসন। এরপরেই ইংরাজিতে লেখা আমিরের ১২ লাইনের সেই কবিতা পড়েন তিনি। যার প্রথম তিনটি পংক্তিতে উল্লেখ:
"Everything will be remembered.
Killers, we will become ghosts
and write of your killings..."।
আপ নেতার বিরুদ্ধে হিংসায় মদতের অভিযোগ, কী বললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
সেই কবিতার বাংলার তর্জমা করলে সারমর্ম দাঁড়ায়: সবকিছু মনে থাকবে। ঘাতক, আমরা অশরীরী হয়ে লিখব তোমার হত্যা লীলার কাহিনী। থাকবে সব তথ্যপ্রমাণ। যেভাবে তুমি আদালতে কৌতুক লেখ, সেভাবেই আমরা দেওয়ালে লিখব তোমার বিচার..."
সেই ভিডিও শেয়ার করা মাত্রই লাইক ও প্রতি শেয়ারের বন্যা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করা মন্তব্য পড়েছে সেই ভিডিওতে। এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসায় মৃত ৩৪। আহত দ্বি-শতাধিক। রবিয়াব্র থেকে ছড়িয়ে পড়া এই হিংসা মুলত সিএএ-পন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষের জেরে ছড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এর আগেওপ অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের পুরোভাগে দেখা গিয়েছিল পিঙ্ক ফ্লয়েডের এই গিটারিস্টকে।
গত ডিসেম্বরে আইনে পরিণত হওয়া সিএ বিলে নাগরকিত্ব দেওয়া হবে তিন পড়শি মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের। ধর্মীয়
অসহিষ্ণুতার কারণে তারা ২০১৫-এর আগে এদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে আসলে পাবেন নাগরিকত্ত্ব। কারও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এমনটাই দাবি সরকারের। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই আইন মুলসিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।