This Article is From Mar 17, 2020

‘‘সিএএ ‘বৈধ’, এটা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যায় না’’: সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

সরকারের প্রশ্ন, জমা পড়া পিটিশন থেকে বোঝা যাচ্ছে না কী করে এই আইন এদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের জন্য বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে। 

‘‘সিএএ ‘বৈধ’, এটা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যায় না’’: সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া পিটিশনের শুনানি চলছে আদালতে

নয়াদিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ (CAA) নাগরিকদের আইনত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অধিকারকে খর্ব করছে না। এটা পুরোপুরি বৈধ ও সাংবিধানিক। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশব্যাপী সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতকে একথা জানাল তারা। সরকারের আরও দাবি, আদালতে এই আইন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যায়না। এটি সংসদের সার্বভৌম ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়। সরকার জানায়, নাগরিকত্ব নিয়ে আইন প্রণয়নের সার্বভৌম ক্ষমতা রয়েছে কেবল সংসদেরই। সরকার আরও জানিয়েছে, সংবিধানের ২৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংবিধানের কাছে ক্ষমতা রয়েছে প্রথম তালিকার সপ্তম তফসিলে থাকা যে কোনও বিষয়ের উপরে আইন প্রণয়নের। এর মধ্যে ১৭ নম্বরটি হল নাগরিকত্ব সংক্রান্ত।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই আইনের সঙ্গে কোনও ভারতীয় সম্পর্কিত নয়। বলা হয়েছে, সিএএ নাগরিকদের আইনত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অধিকারকে খর্ব করছে না। এই আইন নাগরিকত্ব দেবেও না, আবার কারও থেকে কেড়েও নেবে না।

ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া পিটিশনের শুনানি চলছে আদালতে। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার অমুসলিমরা এদেশে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক।

সরকারের প্রশ্ন, জমা পড়া পিটিশন থেকে বোঝা যাচ্ছে না কী করে এই আইন এদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের জন্য বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে। 

.