This Article is From Dec 27, 2019

“ভারতের সবচেয়ে বড় ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য ৪৬ কোটি দিয়েছেন” প্রশ্ন তরুণ গগৈয়ের

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ডিটেনশন ক্যাম্পের প্রয়োজন ছিল, অবৈধ অনু্প্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে ধর্মকে রাখা উচিত নয়

“ভারতের সবচেয়ে বড় ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য ৪৬ কোটি দিয়েছেন” প্রশ্ন তরুণ গগৈয়ের

তরুণ গগৈ বলেন, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে মুখ রক্ষার চেষ্টা করছে মোদি সরকার

গুয়াহাটি:

দেশের কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camps) নেই বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আর শুক্রবার তানিয়ে প্রশ্ন তুললেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ (Tarun Gogoi), বললেন, অটল বিহারী বাজপেয়ি জমানায় চিহ্নিত করা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) জন্য ঘর তৈরি করতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। তাঁর কথায়, “বাজপেয়ি জমানায় প্রথমবার, অবৈধভাবে ভারতে আসার পর যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের রাখার জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়। মোদি ক্ষমতায় আসার পর, ৩,০০০ মানুষের থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সবচয়ে বড় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য ৪৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এখন কীভাবে তিনি বলতে পারেন, দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই”?

২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পরপর তিনবার অসমে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তরুণ গগৈ।

“পাকিস্তানের আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া”, মনমোহন সিংকে কটাক্ষ অমিত শাহের

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রশাসন ডিটেশন সেন্টার তৈরি করেছিল, গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে যারা “ঘোষিত বিদেশি” তাদের জন্য। তিনি বলেন, মুখ রক্ষার তাগিদেই বিষয়টি অস্বীকার করছে মোদি সরকার।

তিনি বলেন, “২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন,তখন রাজ্যের সঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং ডিটেনশন ক্যাম্পের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেননি। এমনকী, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সঙ্গেও কোনও আলোচনা করেনি, এবং এখন, মোদি চাইছেন, আমরা এখনও উদার দেশে বাস করছি, সেই রকম ভাবমূর্তি তৈরি করতে। আমাদের আমাদের আটক করা হবে না”।

তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের আটক করার ক্ষেচ্রে ধর্মকে মাপকাঠি হিসেবে রাখা উচিত নয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আসল সত্য হল, মুসলিমদের থেকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে বেশি হিন্দু রয়েছেন। তাহলে এই হিন্দুদের কারা আটক করছে? সেটা হল বিজেপি”, পাশাপাশি তিনি বলেন, তাঁর জমানায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে কোনও বিভাজন ছিল না। 

“কী বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন”, সেনাপ্রধানের মন্তব্য নিয়ে বললেন ভিকে সিং

যাইহোক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিটেনশন সেন্টারের নিয়ম শিথিল হওয়া প্রয়োজন। তাঁর কথায়, “তিনবছর পরে, আটক থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির নির্দেশ গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, ফলে একটি নিয়ম রয়েছে”।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মধ্যেই, ভারতে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প থাকার কথা অস্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভা থেকে দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি হওয়ার জল্পনাও উড়িয়ে দেন। তাঁর সেই দাবির সমালোচনা করে বিরোধীরা, সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতামন্ত্রীদের বক্তব্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সংঘাতের অভিযোগও তোলা হয়।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে এই প্রথমবার নাগরিকত্বের জন্য জাতপাতকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের মাধ্যমে তিনটি অমুসলিম প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে, যাঁরা ২০১৫-এর আগে ভারতে এসেছেন।

.