This Article is From Jan 02, 2020

ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বয়কটের শপথ

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর বিরুদ্ধে সাহিনবাগ ও কনস্টিটিউশন ক্লাবেও বিক্ষোভ হয়

ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বয়কটের শপথ

বছরের প্রথমদিনে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জমায়েত হলেন শতাধিক মানুষ

নয়াদিল্লি:

বুধবার বছরের প্রথমদিনে ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে জমায়েত হলেন শতাধিক মানুষ, “সংবিধান রক্ষার” ডাক দিয়ে নাগরিকত্ব আইনের (Amended Citizenship Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শপথ নিলেন তাঁরা। এমনকী, এই বিতর্কিত আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (National Register of Citizens) বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটি, ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটে বিক্ষোভের জেরে। এর ফলে এলাকার পাঁচটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়, কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ইংরাজি নবববর্ষের দিনে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের থেকে যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়া অনেকটা সহজ। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের তরফে ট্যুইটে লেখা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সচিবালয় উদ্যোগ ভবন, প্রগতি ময়দান, খান মার্কেট, এবং মাণ্ডি হাউজ মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সচিবালয় এবং মাণ্ডি হাউজে গাড়ি বদল করা যাবে”।

“আমরা শান্তির পথে”, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ নিয়ে বললেন অসমের ডিজি

দেশের রাজধানীর আরও দুই জায়গায় বিক্ষোভ হয়। ইংরাজি নববর্ষের মধ্যরাতে মহিলাদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ১৭ তম দিনে পা দিল, পার্লামেন্ট স্ট্রিটে কনস্টিটিউশন ক্লাবে প্রতিবাদে সামিল হয়  আরেকটি গোষ্ঠী।

ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠিতে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এর ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এই আইনে। সমালোচকদের দাবি, এই আনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক, এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।

বিক্ষোভকারীদের একজন NDTV কে বলেন, “আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী, এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছি। আমাদের নতুন বছরের কর্মসূচী, সংবিধানকে রক্ষা করা”।

Citizenship Act: দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের

প্রস্তাবনা পাঠ করে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা যৌথভাবে শপথগ্রহণ করেন, কোনও আধিকারিক জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর জন্য এলে, তাঁদের “কোনও নথি দেখানো হবে না”। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা বলেন, “আজ আমরা, ১ জানুয়ারি ২০২০, আমরা সমবেত কণ্ঠে প্রতিজ্ঞা করছি, আমরা একটা সমাজ দেব, যেখানে অত্যাচারীর চিহ্ন থাকবে না এবং সংবিধান বিরোধী ও ভারত-বিরোধী শক্তির সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা না করার প্রচার করব”।

জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি এন সাই বালাজিকে উদ্ধৃত করে সংহবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “কোনও ভাবেই আমরা আমাদের দেশবাসীকে লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ, ভাষা, সম্প্রদায় বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য আনতে দেব না। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে সাম্যতা ও ন্যায়, আমরা একে অপরের সুনিশ্চিত করতে চাই”

কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। চণ্ডীগড়, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতেও একইরকমভাবে বিক্ষোভ হয়।

(PTI-এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)

.