Citizenship Amendment Act: শনিবার এমন দাবিও ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে করেছিলেন তিনি। এতেই চটেছেন 'বেহেনজি', দাবি বিএসপি সূত্রে। (ফাইল)
ভোপাল: 'শৃঙ্খলাভঙ্গ'-এর দায়ে নিজের দলের বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati)। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজনীতিতে 'বেহেনজি' নামে পরিচিত এই রাজনীতিবিদ সিএএ (CAA) নিয়ে তাঁর দলের বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এবার বিএসপি (BSP) বিধায়ক রমাবাই পারিহারকে সিএএ-র পক্ষে কথা বলার জন্য সাসপেন্ড করলেন মায়াবতী। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে টুইট করে রবিবার তিনি জানান, 'শৃঙ্খলাভঙ্গ করলেই দলের সাংসদ এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার মধ্যপ্রদেশের পাথেরিয়ার বিএসপি বিধায়ক রমাবাই পারিহার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলও। সেই অনুষ্ঠানে সিএএ বিল অনায়াসে সংসদে পাস করানোর জন্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ আর প্রহ্লাদ প্যাটেলকে অভিনন্দন জানান ওই বিএসপি বিধায়ক। এমনকী, তিনি এবং তাঁর পরিবার, এই আইনকে সমর্থন করেন।শনিবার এমন দাবিও ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে করেছিলেন তিনি। এতেই চটেছেন 'বেহেনজি', দাবি বিএসপি সূত্রে।
এই ঘটনার একদিন পরই টুইটে সরব হয়ে রবিবার সকালে মায়াবতী জানান, 'বিএসপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। সেই দলে শৃঙ্খলাভঙ্গ হলেই সাংসদ কিংবা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাথেরিয়ার দলীয় বিধায়ক রমাবাই পারিহারকে বিএসপি থেকে সাসপেন্ড করা হল। পাশাপাশি এখন থেকে দলের সব বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে, তাঁর উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।' এরপরে প্রবীণ ওই রাজনীতিবিদ আরও একটা টুইট করেন, যাতে তিনি বিএসপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি লেখেন, 'একদম প্রথমদিন থেকে বিএসপি বলে আসছে সিএএ বিভেদমূলক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। আমাদের দল সংসদে এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এমনকী, আমরা রাষ্ট্রপতিকে অবিলম্বে এই বিল খারিজ করতে অনুরোধ করেছি। এতকিছুর পরেও রমাবাই পারিহার দলের ঘোষিত নীতির বিপক্ষে গেছেন।' বিএসপি সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও দলের বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য ওই মহিলা বিধায়ককে সতর্ক করা হয়েছিল।
এদিকে, বিএসপির ওই মহিলা বিধায়কের অবস্থানকে কুর্নিশ জানিয়ে বিজেপির মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল বলেছেন, বিজেপি রমাবাই পারিহারের সাহসী মন্তব্যকে স্বাগত জানায়।মধ্যপ্রদেশের শাসক শিবিরের অনেকেই মনে করেন এই আইন যুক্তিযুক্ত। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। আশা করা যায় এরপর তাঁরা মুখ খুলবেন। ২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি আর চার নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। এদিকে, দিন কয়েক আগে বিএসপির কয়েকজন সদস্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে এই আইন খারিজের অনুরোধও করেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অভিযুক্ত' পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে চলা বিচারবিভাগীয় তদন্ত খারিজের আবেদন জানিয়েছেন বিএসপির ওই প্রতিনিধি দল।